সারাদেশ
ফেসবুকে পরিচয়ে প্রেম: ২১ বছরের প্রেমিকের বাড়িতে ৪২ বছরের নারী অনশন!
নিজস্ব প্রতিবেদক : স্ত্রীর স্বীকৃতি চেয়ে ২১ বছরের এক যুবকের বাড়িতে অনশনে বসেছে ৪২ বছরের এক নারী। ঘটনাটি ঘটেছে শরীয়তপুরে। ফেসবুকে পরিচয়ের পর ওই নারীকে বিয়ে করার কিছুদিন পর নাদিম যোগাযোগ বন্ধ করে দেন বলে দাবি ওই নারীর। পালং মডেল থানার (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সদর পৌরসভার হুগলি গ্রামের সরদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, স্থানীয় ও ভুক্তভোগী নারীর সূত্রে জানা গেছে, এক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হুগলি গ্রামের বিল্লাল সরদারের ছেলে নাদিম সরদারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে কুড়িগ্রাম জেলার কবিরাজপাড়া গ্রামের ৪২ বছরের এক নারীর সঙ্গে।
দুই সন্তানের জননী ওই নারীকে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ঢাকার আজিমপুর এলাকার এক কাজীর মাধ্যমে ২ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করে নাদিম সরদার। বিয়ের পরে ঢাকার আবাসিক হোটেলে একান্তে সময় কাটানোর পর ওই নারীকে কুড়িগ্রামে পাঠিয়ে দেয় নাদিম। এরপর নাদিম ধীরে ধীরে ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে নাদিমের বাড়িতে এসে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে অনশন শুরু করেন ওই নারী।
অনশনরত নারী বলেন, ‘বিয়ের আগে নাদিমের সঙ্গে আমার প্রেম ছিল। সবকিছু জেনে শুনে আমাকে বিয়ে করেছে নাদিম। বিয়ের পর নাদিমের যখন যা কিছু দরকার পড়েছে আমি দিয়েছি। এমনকি আমার গহনা বিক্রি করেও টাকা দিয়েছি। এখন সে পারিবারিক চাপের কারণে আমাকে অস্বীকার করছে। আমি অধিকার নিয়েই এই বাড়িতে এসেছি। আমি ওর সাথে সংসার করতে চাই। আপনারা সকলে আমাকে সহযোগিতা করুন।’
নাদিম সরদার মুঠোফোনে বলেন, ‘উনিই ফেসবুকে আগে আমাকে ম্যাসেজ দিয়েছেন। আমি জানতাম না তার এতো বয়স। আমি তার সাথে সংসার করিনি। আমি তাকে ডিভোর্স দিয়েছি।’ নাদিম সরদারের মা বলেন, ‘আমার বাড়িতে আসা ওই নারীর আগে একটি সংসার ছিল। ওই সংসারে আমার ছেলের চাইতে বয়সে বড় দুইটি সন্তান রয়েছে।
এমন সম্পর্ক মেনে নেওয়ার মতো না। তাছাড়া ওদের ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে। এখন নতুন করে ওই মহিলা কেন আসছে বুঝতে পারছি না।’ পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। দুজনেই প্রাপ্ত বয়স্ক। তবে ভুক্তভোগী অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’