পিরোজপুর
পিরোজপুরে মাদরাসাছাত্রীকে মুখ বেঁধে ধর্ষণ, থানায় মামলা
পিরোজপুরের নাজিরপুরের ষষ্ঠ শ্রেণির এক মাদরাসাছাত্রীকে (১১) মুখ বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে দুই সন্তানের জনক জিয়া উদ্দিন শেখ (৩৫) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে ভক্তভোগীর বাবা মামলাটি দায়ের করেন। এরআগে শনিবার উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোদারা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
ধর্ষক জিয়া উদ্দিন শেখ (৩৫) একই এলাকার আব্দুল হাই শেখের ছেলে।
জানা গেছে, স্থানীয় প্রভাবশালীদের চাপের মুখে ঘটনার চার দিন পরেও কোনো মামলা করতে পারেননি ভুক্তভোগীর পরিবারটি। স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্র বিষয়টি মিটমাট করে দেয়ার কথা বলে মামলা না করতে ভুক্তভোগীর পরিবারকে চাপ দেয়। পরে থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মৌখিকভাবে খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারকে এনে মামলা নেন।
ভুক্তভোগী ওই মাদরাসাছাত্রীর বাবা জানান, ‘শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে তার মেয়ে একই এলাকার তার চাচাতো ভগ্নিপতি হান্নান সর্দারের বাড়ি থেকে নিজ বাড়ির দিকে যাচ্ছিলো। এ সময় পাশের বাড়ির জিয়া শেখ তাদের ঘরে কেউ না থাকার সুযোগে ওই শিশুটিকে ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে স্থানীয় প্রভাবশালী বিষয়টি মিট-মাট এবং মামলা না করার জন্য চাপ দেয়ায় চার দিন পরও তিনি মামলা করতে পারেননি।’
ঘটনার বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, ‘অভিযুক্ত যুবক স্থানীয় প্রভাবশালী। তাই স্থানীয় অন্য প্রভাবশালীরা তার পক্ষে অবস্থান নিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য ভুক্তভোগী পরিবারকে চাপ দেয়াসহ কালক্ষেপন করেন।’
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্তের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। এমন কি তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তার কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
তবে অভিযুক্তের বাবা বলেন, ‘তার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেয়া হচ্ছে।’
পিরোজপুর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: শাহ আলম হাওলাদার বলেন, ‘মৌখিকভাবে বিষয়টি খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে ভুক্তভোগী ও বাবাকে এনে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’