পিরোজপুর
পিরোজপুরে পরকীয়া জানাজানি হওয়ায় গৃহবধূর আত্মহত্যা
পিরোজপুরের কাউখালীতে গৃহবধুর পরকীয়ার সংবাদ জানাজানি হওয়ায় লোকলজ্জার ভয়ে মঞ্জুয়ারা (৩৭) নামে এক গৃহবধূ বিষপানে আত্মহত্যা করছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, উপজেলার হোগলা বেতকা গ্রামের এনায়েত মাঝির মেয়ে মঞ্জুয়ারাকে (৩৭) একই গ্রামের এনছাব আলী মীরের ছেলে সাখাওয়াত হোসেনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এরই মধ্যে তাদের ঘরে ২ ছেলে ১ মেয়ে জন্ম নেয়।
ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য কবির হোসেন এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম হোসেন জানান, সাখাওয়াতের বন্ধু আলামিন নিয়মিত তাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করে। এই সুবাধে বন্ধুর স্ত্রী মঞ্জুয়ারার সাথে আলামিন পরকীয়ায় জড়িয়ে পরেন। গত শুক্রবার রাতে স্বামী সাখায়াত ঢাকায় অবস্থান করার সুবাধে স্ত্রী মঞ্জুয়ারার সাথে রাত্রিযাপন করতে বন্ধু আলামিন সাখাওয়াতের বাড়িতে আসেন। এলাকাবাসী গভীর রাতে আলামিনকে সাখাওয়াতের অনুপস্থিতিতে তার ঘরে আলামিনকে দেখতে পায়। এসময় তারা বাহির থেকে ঘরের দরজা তালা বদ্ধ করে রাখে এবং মঞ্জুয়ারার বাবা এনায়েত মাঝিকে বিষয়টি জানায়। তিনি ওই বাড়িতে এসে এলাকাবাসীকে অনুরোধ করে আলামিনকে ছেড়ে দেয়।
পরে স্বামী বাড়িতে আসলে ঘটনাটি জানতে পারে এবং এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনমালিন্য সৃষ্টি হলে স্ত্রী বাবার বাড়িতে চলে যায়। ঘটনার ২ দিন পর শুক্রবার রাতে সাখাওয়াতকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন ওই বাড়িতে ডেকে নেয়। এ সময় শ্বশুর বাড়ির লোকজন স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মিল মিমাংসার চেষ্টা করে। আলামিনের কুকীর্তি সম্পর্কে কেন জানানো হয় নাই স্ত্রীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইল কোন উত্তর না দিয়ে ওই রাতে ঘরে থাকা কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে মঞ্জুয়ারা। ঘটনার পরপরই পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসাপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে উন্নত চিকিসার জন্য খুলনা পাঠায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছার আগেই পথিমধ্যে সে মারা যায়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর মরগে প্রেরণ করেন।
এ বিষয়ে কাউখালীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হুমায়ুন করিব জানান, পিরোজপুর থানা পুলিশ লাশের সুরাতহাল তৈরি শেষে মর্গে পাঠিয়েছে এবং কাউখালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।