জাতীয়
‘পশুবাহী ট্রাক থেকে চাঁদা নেওয়া হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেছেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে চলাচলকারী সকল পশুবাহী ট্রাক থেকে চাঁদা নেওয়া হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘাটে পশুবাহী গাড়ির নজরদারীর জন্য লাইভ স্টকের নেতৃত্বে স্থানীয়ভাবে একটি বিশেষ টিম জরুরি সেবার জন্য প্রস্তুত থাকবে। প্রয়োজন হলে সেটা তারা প্রদান করবে। এছাড়া বাজার ব্যবস্থা ও ক্রেতা বিক্রেতার জন্য জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসনও তদারকি করবে।
রোববার (৯ জুন) সকালে মধুখালী থেকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া হয়ে ঢাকা যাওয়ার পথে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, বিগত দিনে কোরবানির সময় পশুবাহী ট্রাকগুলো দৌলতদিয়া ঘাটের পদ্মানদী পার হতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দিনের পর দিন পড়ে থাকতে হতো। পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে সেই ভোগান্তি আর এখন পোহাতে হয় না। অধিকাংশ কোরবানির গরুর গাড়িগুলো পদ্মা সেতু দিয়ে পারাপার হচ্ছে। এটাই প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শীতার একটি উদাহরণ। দেশ আজ তারই হাত ধরে উন্নত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশে ১ কোটি ৩০ লাখ পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত আছে। এর মধ্যে চাহিদা রয়েছে ১ কোটি ৭ লাখ এবং চাহিদার চেয়ে ২২ লাখ পশু বেশি রয়েছে। সুতরাং চিন্তার কোনো কারণ নেই।
এসময় উপস্থিত ছিলেন গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোস্তফা মুন্সী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র, গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম মন্ডল, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শফিকুল ইসলাম, উপজেলা পশুসম্পদ কর্মকর্তা মো. রাশেদুজ্জামান, গোয়ালন্দ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোস্তফা আল রাজীব প্রমুখ।