কলাপাড়া
পর্যটক মুখর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ কঠোর লকডাউনে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর দেশের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে চিরচেনা রূপে ফিরেছে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত।
মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে সাগরকন্যা হিসেবে পরিচিত এই সৈকত। সৈকতের প্রতিটি পয়েন্টে ভিড় করতে শুরু করেছেন পর্যটকসহ দর্শনার্থী। দীর্ঘসময় পর ঘরবন্দী মানুষগুলো সৈকত দেখতে পেয়ে দারুণ উচ্ছ¡সিত।
সরেজমিন সমুদ্রসৈকতে গিয়ে দেখা গেছে, পর্যটকরা সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের দৃশ্য উপভোগসহ কুয়াকাটার লেম্বুর চর, ঝাউবন, গঙ্গামতির লেক, কাউয়ার চর, মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দির, কুয়াকাটার কুয়া, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, রাখাইনদের তাঁতপল্লিসহ দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এছাড়া রাতে কাঁকড়াসহ বিভিন্ন প্রকার সমুদ্রের মাছ ফ্রাই খাচ্ছেন পর্যটকরা।
এছাড়াও সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে দেখা গেছে পর্যটকদের। অনুকুল আবহাওয়া এবং ভ্রমন মৌশুম থাকায় দূর দূরান্ত থেকে সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য দেখতে এসেছেন তারা।
স্কুল কলেজ পড়–য়া অনেক শিক্ষার্থীও তাদের বন্ধুদের সাথে ঘুরতে আসছেন। করোনা সংক্রমন রোধে সৈকতের প্রতিটি পয়েন্টে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য প্রচারণাসহ মাইকিং করতে দেখা গেছে টুরিস্ট পুলিশকে।
তবে প্রশাসনের নজরদারি থাকলেও বেশিরভাগ পর্যটকরা মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। টুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা বলেছেন, “কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত এলাকার সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিতের লক্ষ্যে আমরা সজাগ রয়েছি। সমুদ্রে নামার ব্যাপারে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য মাইকিং করে সকলকে সচেতন করা হচ্ছে”।
স্থাণীয় ব্যবসায়ী মেহেদি হাসান বলেন, এখন লোকজন সিমিত পরিসরে আসতে শুরু করেছে। তবে ৩০ আগস্টের পর থেকে পর্যটক আরও বেড়ে যাবে। আমরা আশা করছি, করোনায় কোনও সমস্যা হবে না।
এখনও স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং হোটেল মালিকরা পূরদমে ব্যবসা শুরু করতে পারেনি। পর্যটক সংখ্যা আরও বেড়ে গেলে ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন। সৈকতের সকল আকর্ষন বার বার পর্যটকদের কুয়াকাটার কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে বলে জানান তিনি।
দর্শনার্থী মাসুম বলেছেন, “বিধিনিষেধে যান চলাচল বন্ধ ছিল। যার কারণে অনেক দিন ধরে কোথাও যাইনি। তাই বন্ধুরা মিলে কুয়াকাটা সৈকতে বেড়াতে আসলাম”।
জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, কুয়াকাটায় দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভ্রমনের জন্য সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়াও সার্বক্ষনিক টুরিষ্ট পুলিশ টহলরত রয়েছে।