পটুয়াখালী
পটুয়াখালীতে ৫ টাকার জন্য পা ভেঙে দেওয়া হলো অটোরিকশা চালকের
নিজস্ব প্রতিবেদক॥ পটুয়াখালীতে পাঁচ টাকা ভাড়ার জন্য এক অটোরিকশা চালককে পিটিয়ে পা ভেঙে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় অপর এক যুবককে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। আহত দুজনকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার (১৪ মার্চ) সকাল ৮টায় পটুয়াখালী শহরের অদূরে হেতালিয়া বাঁধঘাট অটোস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন-সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের গেরাখালী গ্রামের ইউনুস হাওলাদারের ছেলে রফিক হাওলাদার ও পৌর শহরের থানা পাড়া এলাকার বাসিন্দা মীর দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মীর জাকারিয়া।
আহত অটোরিকশা চালকের নাম রফিক হাওলাদার। এ ঘটনায় তার ভাই নাসির হাওলাদার বাদী হয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় মামলা করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সকালে রফিক হাওলাদারের অটোরিকশায় করে হেতালিয়া বাঁধঘাটে যান সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের মৃধা বাড়ি এলাকার বাসিন্দা স্বপন মৃধা। তিনি অটোরিকশা চালককে ১০ টাকা ভাড়া দেন। চালক রফিক হাওলাদার আরও পাঁচ টাকা দাবি করলে ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর শুরু করেন স্বপন মৃধা। এক পর্যায়ে রফিক হাওলাদারের পা ভেঙে গেলে মাটিতে পড়ে যান।
এসময় মীর জাকারিয়া নামের এক পথচারী যুবক প্রতিবাদ করায় লাঠি দিয়ে তাকেও মারধর করা হয়। এতে তার মাথা জখম হয়। এসময় মিজান মৃধা ও সবুজ মৃধা নামে আরও দুজন এসে জাকারিয়া ও রফিকুলকে পিটিয়ে জখম করেন। পরে স্থানীয়রা দুজনকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে তারা সেখানে চিকিৎসাধীন।
আহত রফিক হাওলাদার বলেন, ‘আমি অটোরিকশা চালাইয়া খাই। পাঁচ টাকার জন্য পিডাইয়া আমার পাও ভাঙছে। আমারে বাঁচাইতে আইলে এক ভাইরেও মাইরা মাথা ফাডাইছে। আমি এর বিচার চাই।’
আহত জাকারিয়া বলেন, ‘পাঁচ টাকার জন্য একজন অটোচালককে মারধর করাটা ঘৃণ্য কাজ। এর প্রতিবাদ করায় আমাকেও মেরে হাসপাতালে পাঠালো। এর থেকে দুঃখজনক আর কিছু নেই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।’