পটুয়াখালী
পটুয়াখালীতে মুখপোড়া হনুমানের আক্রমণে শিক্ষার্থীসহ আ*হত ৩
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে মুখপোড়া হনুমানের আক্রমণে মনোহরখালী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বিদ্যালয়ের সাইক্লোন সেন্টারের নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আহত তিশা আক্তার ও আরিফা আক্তার ওই বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। আরেকজন মির্জাগঞ্জ মাজার সংলগ্ন ঋষি বাড়ির রিপন ঋষি। পেশায় তিনি একজন নাপিত। গত সোমবার বাড়ির পাশে সড়কের ওপর তাঁকে আক্রমণ করে। রিপনের ঘাড়ের ওপরের অংশে হনুমানটি মুখের দাঁত ও পায়ের নখ দিয়ে প্রচণ্ড আঘাত করে মাংস তুলে নিয়ে যায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তিনি ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রিপনের পরিবার জানায়, রিপন খুবই অসুস্থ। বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বুধবার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে।
মনোহরখালী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিখিল মিস্ত্রি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টায় শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসে। এ সময় বিদ্যালয়ের পাশে লোকালয় থেকে একটি মুখপোড়া হনুমান ছুটে এসে শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ করে। এতে তিশা ও আরিফা নামে দুই শিক্ষার্থী আহত হয়। পরে তাঁদের দুজনকে চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।’
স্থানীয় বায়েজীদ কম্পিউটার সলিউশনের স্বত্বাধিকারী মো. বায়েজীদ হাসান বলেন, ‘মির্জাগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত হনুমানটি লোকালয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রথম দিকে হনুমানটি কারও কোনো ক্ষতি না করলেও এখন মানুষের ওপর আক্রমণ করছে। বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগের চেষ্টা করে ও ব্যর্থ হয়েছি। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে কোন সহায়তা না পেয়ে ৩৩৩ নম্বরে ফোন করেও কোনো সমাধান পাইনি।’
উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নে মুখপোড়া একটি হনুমান তিনজনকে আক্রমণের বিষয়টি জেনে ঘটনাস্থলে আমি গিয়েছি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছি। আগামীকাল শুক্রবার খুলনা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ থেকে একটি টিম ঘটনাস্থলে আসবেন বলে আমাকে জানিয়েছে।’