পটুয়াখালী
পটুয়াখালীতে অফিস কক্ষে প্রকাশ্যে ঘুষ নেয়া সেই খাদ্য কর্মকর্তার বদলি
অফিস কক্ষে প্রকাশ্যে ঘুষ নেয়ার অভিযোগের সত্যতা মেলায় উপজেলা উপ-খাদ্য পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলামকে বাউফল থেকে গলাচিপায় বদলি করা হয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে কোন লিখিত অভিযোগ না পাওয়ায় অন্যত্র বদলি ছাড়া আর কোনও ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না বলে জানালেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মনোয়ার হোসেন।
উপজেলা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বরাদ্দের ডিও ছাড় দিতে ডিলারদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ করার অভিযোগ উঠেছে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা উপ-খাদ্য পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ঘুষ বাণিজ্যের কারণে চাল তুলতে হিমশিম খাচ্ছেন ডিলাররা। কিন্তু প্রকাশ্যে কেউ মুখ না খুললেও ওই পরিদর্শকের ঘুষ বাণিজ্যের একটা ভিডিও ফুটেজ চলে আসে সংবাদকর্মীদের কাছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের প্রতি ইউনিয়নে ২/৩ জন করে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণের জন্য ৩৯ জন ডিলার নিয়োগ করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ঐ ডিলাররা জনপ্রতি ৩০ কেজি করে চাল বছরে ৫ কিস্তিতে ১৯ হাজার ৮১ জন উপকারভোগী খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাবে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রায় আড়াই বছর আগে বাউফল উপজেলা উপ-খাদ্য পরিদর্শক হিসেবে যোগদান করেই নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন রফিকুল ইসলাম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ডিলার জানান, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি ডিও নিতে ১ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়। ডিলারি নিয়ে আমরা বিপাকে আছি। কত টাকাই আর ব্যবসা হবে? এভাবে হয়রানি বন্ধ ও এর প্রতিকার চান এসব ডিলাররা।
অভিযোগের বিষয়ে জানার চেষ্টা করলে উপজেলা উপ-খাদ্য পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কমল গোপাল দে জানান, এ বিষয়ে আমি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন স্যারকে অবহিত করি। এ বিষয়ে এর চেয়ে আর কিছু আমি বলতে পারব না।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়টি আমাদের উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা অবহিত করলে তাকে বাউফল থেকে গলাচিপায় বদলি করে দেয়া হয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে কোন ডিলার লিখিত অভিযোগ না করায় আর কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না।