বরগুনা
নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ শিকারে বাধা বিদ্যুৎ-সংকট
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে বরফ-সংকটের কারণে সাগরে মাছ শিকারে যেতে পারেনি বরগুনার পাথরঘাটার দেড় শতাধিক ট্রলার। এই সমস্যা তৈরি হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’-এর পর এখনও পাথরঘাটার উপকূলীয় এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক না হওয়ায়।
নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজনের ভরণপোষণের জন্য অনেকেই মহাজনদের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছেন। এখন এই বিপত্তিতে তারা হতাশ।
ট্রলার মালিক মো. মাসুম আকন বলেন, ‘১৫ দিনের জন্য চাল, ডাল, তেলসহ প্রায় ২ লাখ টাকার বাজার-সদাই ট্রলারে প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে গত দুই দিন ধরে বরফের জন্য সিরিয়াল দিয়ে আছি। এ ছাড়া এই সংকটময় মুহূর্তে অনেকেই অতিরিক্ত দামে বরফ বিক্রি করেছে।’
জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, দেড় শতাধিক ট্রলার বরফকলের সামনে সিরিয়াল দিয়ে বসে আছে। যারা বরফ সংগ্রহ করতে পেরেছে, তারা রাত ১২টার পর সাগরে ইলিশ শিকারের জন্য রওনা দিয়েছে।
বরফ নির্মাতা কোম্পানি মধুমতী ফ্রস্টের নির্বাহী পরিচালক নাজমুল হক রিয়াজ বলেন, ‘পাথরঘাটায় বরফের চাহিদা প্রচুর। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের এক দিন আগে থেকেই এখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ। সাত দিন ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় বরফের এমন সংকট তৈরি হয়েছে।’ সিয়াম আইস মিলের পরিচালক মোহাম্মদ সোহাগ বলেন, ‘এক ক্যান বরফ তৈরি হতে সময় লাগে ২৪ ঘণ্টা। ঘূর্ণিঝড়ের পর বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যুৎ এলেও আবার সন্ধ্যায় চলে যায়। এরপর শুক্রবার ভোর ৫টায় আসে। এভাবে বরফ উৎপাদন করে সরবরাহ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’
পাথরঘাটা পল্লী বিদ্যুতের উপমহাব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে বিভিন্ন স্থানে গাছ ভেঙে পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যায় ও খুঁটি ভেঙে যায়। এতে সংযোগ চালু করতে একটু সময় লেগেছে। শিগগিরই এই সমস্যার সমাধান হবে।