বরগুনা
নিষেধাজ্ঞার দু’দিনেও বরগুনায় শুরু হয়নি চাল বিতরণ
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম হওয়ায় ৭ অক্টোবর থেকে বঙ্গোপসাগর ও দেশের নদ-নদীতে মাছ শিকারে ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা চলছে। এ সময় কর্মহীন জেলেদের ২৫ কেজি করে চাল সহায়তা দেওয়ার থাকলেও এখনো বিতরণ শুরু হয়নি। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলেরা। তবে দ্রুত চাল দেওয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য কর্মকর্তা।
মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম হওয়ায় সরকার ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন বঙ্গোপসাগর ও নদ-নদীতে সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। এ সময় কর্মহীন থাকা বরগুনায় ৩৭ হাজার ৭০ জন জেলেকে সরকার ২৫ কেজি করে খাদ্য সহায়তার চাল দেবে। তবে নিষেধাজ্ঞার দ্বিতীয় দিন চললেও জেলায় এখনো কোথাও কোনো জেলেদের সহায়তা দেওয়া হয়নি।
জেলে নেতারা বলছেন, তারা সব সময় দাবি করে আসছেন নিষেধাজ্ঞার শুরুতেই যাতে জেলেদের চাল বিতরণ করা হয়। কিন্তু বিগত বছরগুলোতে দেখা গেছে নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও জেলেরা চাল পাচ্ছেন না।
বাংলাদেশ মৎস্যজীবী টলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, জেলায় যে পরিমাণ চাল বরাদ্দ আসে তার থেকে কয়েক গুণ বেশি জেলে রয়েছেন বরগুনায়। যাদের চাল দেওয়া হয় তারাও সময় মতো পাচ্ছেন না। চাল দিতে দিতে দেখা যায় নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে কর্মহীন জেলেদের ধারদেনা করে সংসার চালাতে হয়।
বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, বিগত বছর জেলেদের অবরোধ চলাকালে ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হতো। জেলে পরিবারের কথা চিন্তা করে এবছর সরকার আরও পাঁচ কেজি বাড়িয়ে ২৫ কেজি করেছে। আশা করি দুই থেকে চার দিনের মধ্যে চাল বিতরণ শুরু করতে পারবো।
যাতে প্রকৃত জেলেরা সহায়তার চাল পায় সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখা হবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।