বরিশাল
নগরীর এশিয়ান আই কেয়ার হাসপাতালে ভয়াবহ দূর্নীতি
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল নগরীর করিম কুটিরে অবস্থিত এশিয়ান আই কেয়ার হাসপাতালের বিরুদ্ধে ভয়াবহ দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এই অভিযোগ খোদ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. ভবেস চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধেই। ঘটনাসূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১৪ ফেব্র“য়ারি নগরীর ১৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. মনিরুজ্জামান (৫৮) চোখের দৃষ্টি সমস্যা দেখা দিলে সদর রোডস্থ ল্যাব এইড হাসপাতালে ডা. ভবেস চন্দ্র রায়ের কাছে যান। একই সমস্যা জনিত কারনে পুনরায় ২০ ফেব্র“য়ারি ডা. ডিবি পালের কাছে যান। পরে দুজন ডাক্তারই তাদের নিজস্ব মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এশিয়ান আই কেয়ার হাসপাতালে চোখের লেন্স স্থাপনের জন্য ভর্তি হতে বলেন। পাশাপাশি জাপানে প্রস্তুতকৃত ৫০ হাজার টাকা দামের লেন্সসহ অপারেশন ফি বাবদ মোট ৬০ হাজার টাকায় দৃষ্টিশক্তি পুরোপুরি ভালো হয়ে যাবার প্রতিশ্র“তি দেন।
নিজের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেতে অপারেশনের জন্য চলতি মাসের ৫ মার্চ নিজ সন্তান পুলিশ সদস্য তানভীর অভিকে নিয়ে ওই হাসপাতালে যান তারা। এ সময় বাবার চোখের লেন্সের ধরন দেখতে চাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লেন্সটি মোড়কজাত অবস্থায় পুলিশ সদস্য অভিকে দেখান। সাথে সাথে লেন্সের মোড়কে প্রিন্ট করা ছজ কোড স্ক্যান করেন তিনি। এসময় পুলিশ সদস্য দেখতে পান লেন্সের প্রস্তুতকারী দেশ থাইল্যান্ড এবং মূল্য মাত্র ১৬ হাজার টাকা। পরবর্তীতে প্রতারনার বিষয়টি হাসপাতালের ম্যানেজার বিশ্বজিৎ সাহার কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রতারনার বিষয়টি এড়িয়ে যান। এসময় তিনি বলেন, হাসপাতালের পরিচালক একজন ডাক্তার, বিষয়টি নিয়ে তার সাথে কথা বলেন। তবে সরেজমিন প্রতিবেদকের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন হাসপাতালের পরিচালক রিপন মজুমদার, যাহা ভিডিও আকারে করা হয়েছে।
এদিকে ৫০ হাজার টাকা দামের জাপানি লেন্সের নামে ১৬ হাজার টাকার থাইল্যান্ডের লেন্স কেন দেয়া হচ্ছে জানতে চাইলে হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডাক্তার ভবেস চন্দ্র রায় কোন সদুউত্তর না দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ৬০ হাজার টাকায় সর্বমোট প্যাকেজ ধরা হয়েছিল। তবে জাপানি লেন্স স্থাপনের কথা তাকে বলা হয়নি। অপারেশন ফি, মেশিন চার্জ ও হাসপাতালের খরচ সহ ওই টাকা ধরা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশালের সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান জানান, ভুক্তভোগী লিখিতভাবে অভিযোগ দিলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।