বরিশাল
নগরীতে ভূমিদস্যুদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে জমির মালিক
সিকদার রাসেল ॥ বরিশাল নগরীর হরিণাফুলিয়ায় সাব কবালা দলিল মূলে জমি ক্রয় করে দখল পাচ্ছে না দলিলের গ্রহীতারা। জমি দখলে নিতে গিয়ে দলিল দাতার ওয়ারিশ হেমায়েত খান, সুমন খান, সরোয়ার খান, কাদের খান ও জামাল সরদার গংরা খুন জখমের হুমকী দেয়। সূত্রমতে, বরিশাল নগরীর ২৬নং ওয়ার্ড হরিণাফুলিয়া এলাকার মৃতঃ জহুরজান বিবি ও আশ্রাব আলী খান’র কাছ থেকে ১৯৭৫ সালে ৫ মার্চ সাব কবালা দলিল মূলে ৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন ওহাব হাওলাদার ও মোঃ শাজাহান হাওলাদার। যার দলিল নং-৩৯৩৬, ২৫নং মৌজার হালদাগ ৮৭০।
জমির মালিক ওহাব আলী ও শাজাহান হাওলাদার বলেন, ১৯৭৫ সালে জমি ক্রয় করি এসএ খতিয়ান অনুসারে। পরে নামজারী খতিয়ান খোলা হয় তাও আমাদের নামে এবং বিএস খতিয়ানের রেকর্ডও করেছি। এরপরেও দলিল দাতার ওয়ারিশগণ জোরপূর্বক আমাদের ক্রয়কৃত জমি জবরদখল করে রেখেছে। জমির কাছে আসলে খুন জখম ও হামলার ভয় দেখায় তারা। জমির মালিক আরো বলেন, একাধিকবার জমি সার্ভেয়ার ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে জমি বুঝে নিতে গিয়েও কোন পাত্তা পাইনি। পরে মিমাংশার জন্য ২৬নং ওয়ার্ড আ.লীগ সভাপতি হুমায়ুন হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোলায়মান (বাপ্পি) ২ পক্ষকে নিয়ে বিচারের জন্য বসেন।
সেখানে জবরদখলকারীরা ৭ দিনের সময় চেয়ে আর সালিশীতে বসে না। কালক্ষেপন করে বিভিন্ন রকম হুমকী দেয় জমির প্রকৃত মালিককে। এ ব্যাপারে স্থানীয় ব্যবসায়ী পলাশ হাওলাদার বলেন, কাগজপত্র সংগ্রহের কথা বলে উল্টো ঐ পক্ষ জমিতে বাথরুমসহ স্থাপনা নির্মাণ করে জমি স্থায়ীভাবে দখলে নেয়। জানাযায়, জামাল সরদার, রুস্তুম খান, কাদের খান, সুমন খানসহ ১০/১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ বাহিনী রয়েছে। যারা ভূমিদস্যুতা, চুরি, ডাকাতি, মাদক ব্যবসাসহ নানান অপকর্ম করে বেড়ায়। তাদের ভয়ে স্থানীয় কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পায় না। যদি তাদের অন্যায় কাজের কেউ প্রতিবাদ করে তাহলে তাকে হামলা ও মামলার শিকার হতে হয়। এদের অত্যাচার থেকে পরিত্রাণ পেতে ওহাব আলী হাওলাদার, শাজাহান হাওলাদারসহ স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।