রাজনীতি
নগরীতে পুলিশ সদস্য’র বিরুদ্ধে স্ত্রীর মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশাল নগরের ভাটিখানা এলাকায় এক পুলিশ সদস্যর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগ এনে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় ও আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন তারই ভুক্তভোগী স্ত্রী মোসাম্মত সুমী আক্তার। মামলার আসামি পুলিশ কনস্টবল মো. আনিছুর রহমান(২৯) বর্তমানে ভোলা সদর থানায় কর্মরত আছেন। চলতি মাসের ২ জানুয়ারী বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(গ) ধারায় এ মামলাটি দায়ের করেন সুমী আক্তার। মামলা নং(জি.আর ১২)। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৯ জুন বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভাতশালা গ্রামের মো. শাহ আলমের মেয়ে সুমি আক্তারের সঙ্গে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার চরখাগকাটা গ্রামের আঃ রব হাওলাদারের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল আনিছুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয়। সুমি আক্তার জানান, বিয়ের পর থেকেই ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে। এসব দাবী পূরনে ব্যর্থ হওয়ার কারনে ভোলা সদরে একটি ভাড়া বাসায় আটকে বেধম মারধর করে।এ ঘটনায় প্রথমে আদালতে একটি মামলা দায়ের(নং ৫০৫) করেন। পরে মামলা তদন্তের জন্যে বরিশাল পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)তে স্বামী-স্ত্রী উভয়কেই ডাকা হয়। কিন্তু পিবিআই অফিস থেকে বেড়িয়ে যাওয়ার পর সিএন্ডবি রোডে সুমিকে আনিছুর রহমান ফের ধারালো চাকু দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় সুমিকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুমি অভিযোগ করেন গোপনে আনিছুর রহমান ভোলা সদর থানার অফিসার পাড়ায় মরিয়ম বেগম নামের এক গৃহবধূর সঙ্গে পরকীয়া প্রেম করে। জানা গেছে, বিয়ে করার পর থেকেই নানা অজুহাতে স্ত্রী সুমি ও তার একমাত্র মেয়ে উম্মে হাফসাকে অস্বীকার করতে থাকেন। এক পর্যায়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সুমি মেয়েসহ তার বাবার বাড়ি ভাতশালা চলে যায় এবং বর্তমানে সেখানেই বসবাস করছেন। এদিকে বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার পারিবারিকভাবে দেন-দরবার করার পর কোনো সমাধান না হওয়ায় সুমি বাদী হয়ে একটি মামলায় (আদালতে) পুলিশ সদস্য স্বামী সাইদুর রহমান, তার শ্বশুর আঃ রব হাওলাদারকে আসামি করে এবং পৃথক আরেক মামলায়(থানায়) পুলিশ সদস্য সাইদুর রহমান ও তার সহযোগী রাসেল হাওলাদারকে আসামি করে মামলা করেন। এদিকে সুমি বলেন, সংসার জীবনে স্বামী আনিছুরের কাছ থেকে আমি এতটাই নির্যাতনের শিকার হয়েছি যা বলার নয়। বলেই তিনি কেঁদে ফেলেন। এ প্রসঙ্গে ভোলা সদর থানায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল আনিছুর রহমানের মুঠোফোনে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্যে ভোলা জেলার পুলিশ সুপারের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।