বরিশাল
নগরীতে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় এখনও আটক হয়নি কেউ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বরিশাল নগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের জুমির খান সড়কে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার অনেকদিন পেড়িয়ে গেলেও মামলার কোনো অগ্রগতি নেই।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, জুমির খান সড়কের শেষ মাথায় মাহমুদা মঞ্জিলে গত (১৪মে) রাতে বাসার গ্রিল কেটে চোর ডুকে নগদ টাকাপয়সা স্বর্ণ ও জরুরি কাগজপত্র নিয়ে যায়।
এঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন মাহমুদা মঞ্জিলের লতিফ খানের মেয়ে খুকু মনি।
মামলা সূ্ত্রে জানা যায়, মাহমুদা মঞ্জিলের বাসিন্দারা গতমাসে জরুরি কাজে ঢাকা যায়। এরপরে (১৫মে) তাদের পাশের বাসার লোকজন তাদের মোবাইল ফোনে জানায় যে বাসার দড়জা জানালা ভাঙ্গা।
খবর পেয়ে খুকুমণি সহ পরিবারের লোকজন বরিশালে এসে দেখতে পায় বাসার জানালা ভেঙ্গে চোর প্রবেশ করে নগদ টাকাপয়সা স্বর্ণ ও কাগজপত্র চুরি করে নিয়ে গেছে।
প্রাইজবন্ড, সোনা গহনা ও নগদ টাকাসহ প্রায় সারে সাত লাখ মালামাল চুরি হয়েছে বলে জানা গেছে।
শুধু মালামাল নিয়েই ক্ষ্যান্ত হয়নি চোর চক্র।
এসময় তারা বাসার সকল আসবাবপত্র ভাংচুর করেছেন বলে সরজমিনে দেখা গেছে।
মাহমুদা মঞ্জিলের খুকুমণি বলেন, যারাই এই চুরির সাথে জড়িত, তারা আমাদের ক্ষতি করার জন্যই চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। এমনকি বাসায় আমরা থাকলে হয়তো প্রাণহানির ঘটনাও ঘটতে পারতো।
তিনি আরো বলেন, আমরা উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত সকলকে গ্রেফতার ও যথাযথ বিচার চাই।
দুর্ধর্ষ এই চুরির ঘটনার তদন্তকারী অফিসার কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক রেজাউল ইসলাম বলেন, চুরির ঘটনা সত্যি। বাদী অভিযোগ মতে প্রায় সারে সাত লাখ টাকার মালামাল নিয়েছে চোর চক্র। তিনি আরে বলেন, এঘটনা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আশাকরি দ্রুত চোর চক্রকে আটক করতে সক্ষম হবো।
এবিষয় কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আনোয়ার হোসেন বলেন, ১৩নং ওয়ার্ডে একটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। এবিষয় মামলা হয়েছে, এবিষয়ে আমাদের কাজ চলমান আছে।