আগৈলঝাড়া
তুচ্ছ ঘটনায় কাঠমিস্ত্রির লাথিতে মৃত্যু সুভাষের
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ আগৈলঝাড়া উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুভাষ মুন্সী (৫০) নামে এক স্থানীয়কে লাথি দিয়েছিলেন এলাকার কাঠমিস্ত্রি জয়ন্ত হালদার। এতে সুভাষের মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর থেকে জয়ন্ত পলাতক। সুভাষ মুন্সী আগৈলঝাড়া উপজেলার ছোট বাশাইল গ্রামের রূপচাঁদ মুন্সীর ছেলে ছিলেন। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) তার মৃত্যু হয়। শনিবার (০৮ অক্টোবর) সকালে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মৃতের স্বজনরা জানান, শুক্রবার বিকেলে উপজেলার পশ্চিম গোয়াইল গ্রামে রাস্তার পাশে একটি চায়ের দোকানে বসে সুভাষ মুন্সীর সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কাঠমিস্ত্রি জয়ন্ত হালদারের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় সুভাষ মুন্সীর তলপেটে লাথি দেন জয়ন্ত হালদার। এ সময় সুভাষ বমি করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে সেখান থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. গোলাম মোর্শেদ সজীব তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা বিকাশ মুন্সী জানান, ঘটনার পর জয়ন্ত হালদার পালিয়ে যান। তিনি উপজেলার পশ্চিম গোয়াইল গ্রামের সুনীল হালদারের ছেলে ও পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি।
ঘটনার পর শুক্রবার রাতে গৌরনদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) এস এম আল বেরুনী, আগৈলঝাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ছরোয়ার, ওসি (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে আগৈলঝাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম জানান, হাসপাতালের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। সকালে মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ অথবা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



