ভোলা
তথ্য গোপন করে একাধিক এনআইডি ব্যবহার, নারী গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিবেদক।। ভোলায় তথ্য গোপন করে দু’টি জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করায় অভিযোগে নূর নাহার (৩০) নামে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১১ জুন) রাতে ভোলা পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডের সাগর বেকারি সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এরআগে দু’টি জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহারের অভিযোগে গত ৯ জুন ভোলা সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মিজানুর রহমান বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলাটিতে একই অভিযোগে ওমর ফারুক নামে অপর এক পুলিশ সদস্যকেও আসামি করা হয়েছে।
থানা ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতার নূর নাহার ভোলা পৌরসভার মুসলিমপাড়ার বাসিন্দা। তার বাবার নাম রফিকুল ইসলাম, মায়ের নামে হনুফা বিবি।
যার এনআইডি নম্বর-৬৪০১৩৫৮২১০, তাং-০১ জানুয়ারি ১৯৯১। নূর নাহার নিজের ওই জাতীয় পরিচয়পত্রটি গোপন রেখে জালিয়াতি করে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে তামান্না আকতার, বাবা শামসুল হক দুলাল, মা মনোয়ারা বেগম নামে আরও একটি জাতীয় পরিচয়পত্র তুলেন।
যার এনআইডি নম্বর-৯৫৭৮৭৬২৯০৯, তাং ১০ মে ১৯৯৭। নূর নাহার নিজের পরিচয় গোপন রেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক আইডি খুলে বিভিন্ন লোকের সঙ্গে বিয়ের প্রতারণা করে আসছিলো বলে জানিয়েছে পুলিশ। একপর্যায়ে নূর নাহারের বিষয়টি প্রকাশ পেলে প্রতারণা শিকার স্বামী মহিউদ্দিন সম্প্রতি ভোলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এবং নির্বাচন অফিস বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন।
বিষয়টি নির্বাচন অফিসের নজরে এলে তারা নূর নাহারের বিরুদ্ধে ভোলা সদর মডেল থানায় একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করে। যার মামলা নম্বর-২১, তাং- ৯-০৬-২০২১ইং। ওই মামলায় শুক্রবার (১১ জুন) রাতে ভোলা পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডের সাগর বেকারির সংলগ্ন এলাকার একটি ফার্মেসি থেকে নূর নাহারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলার বাদী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, ওই নারী তথ্য গোপন করে দু’টি জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করছিলেন। যা আইন পরিপন্থি। সামাজিক যোগাযোগ ও গণমাধ্যমে তার সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পর ভোটার তালিকা আইন ২০১০ এর ১৪ এবং ১৫ ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, নূর নাহার নিজের পরিচয় গোপন রেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক আইডি খুলে বিভিন্ন লোকের সঙ্গে বিয়ের প্রতারণা করে আসছিল। প্রতারক নূর নাহারকে গ্রেফতারে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।