ভোলা
তজুমদ্দিনে ২৪ ঘন্টা পরও উদ্ধার হয়নি নিখোঁজ জেলে
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ভোলার তজুমদ্দিনে ঢাকা টু হাতিয়াগামী মেসার্স ফারহান নেভিগেশনের ফারহান ৪ লঞ্চের ধাক্কায় মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনা ২৪ ঘন্টা পরও উদ্ধার হয়নি নিখোঁজ জেলে। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে প্রশাসন। এ ঘটনায় ট্রলারের মালিক তজুমদ্দিন থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন।
থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, রোববার সন্ধ্যায় তজুমদ্দিনের চৌমুহনী লঞ্চঘাটে মেসার্স ফারহান নেভিগেশনের ফারহান-৪ লঞ্চ ঘাট ছেড়ে যাওয়ার সময় তার চলমান ট্রলারটিকে ধাক্কা দিলে ৬ জন মাঝি মাল্লাসহ ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় পাশ্ববর্তী ট্রলারের লোকজন এসে ৫ জনকে উদ্ধার করলেও আল আমীন (১৯) নিখোঁজ হয়।
জেলে নিখোঁজের সংবাদ পাওয়ার পর পুলিশের সহযোগীতায় উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয় কোষ্টগার্ডের একটি ডুবোরী দল। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিকাল সাড়ে ৩ টায় ডুবোরী দলের উদ্ধার অভিযান চলমান রেখেছে বলে জানান কোস্টগার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার।
জেলে নিখোঁজের ঘটনায় জেলে ট্রলারের মালিক মোঃ নুরনবী তজুমদ্দিন থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন, জিডি নং ৩৩৫। নিখোঁজের ২৪ ঘন্টা পরও জেলে উদ্ধার না হওয়ায় পরিবারে চলছে চরম শোক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঘাট ইজারাদার মাহাবুবুর রহমান বলেন, চৌমুহনী ঘাটে ফারহান লঞ্চটি ঘাট শেষে পিছনে বেগার দিলে ধাক্কা লেগে নুরনবী মাঝির নৌকাটি ডুবে যায়। এ সময় তাদেরকে উদ্ধার করা হয়।
ফারহান লঞ্চের সুপারভাইজার সোহাগ বলেন, ঘাট করে লঞ্চ পিছনে বেগার দিলে জাল টানারত একটি নৌকার সাথে ধাক্কা লাগে। আমরা ৫জনকে উদ্ধার করলে অন্য একটি ট্রলার এসে তাদেরকে নিয়ে যায়।
তজুমদ্দিন কোস্টগার্ড কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মোঃ আসাদ বলেন, জেলে নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ পাওয়ার পর থেকে আমাদের ডুবোরী দলে উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে।
তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) এনায়েত হোসেন বলেন, জেলে নিখোঁজের ঘটনায় ট্রলার মালিক একটি সাধারণ ডায়রী করেছেন। উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত হওয়ার পর আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহি অফিসার পল্লব কুমার হাজরা জানান, ট্রলার ডুবির সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। নিখোঁজ জেলেকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।