ঝালকাঠি
ঝালকাঠিতে মুগ ডালের বাম্পার ফলন, ৪০ কোটি টাকার মুগ ডাল উৎপাদন
ঝালকাঠিতে এ বছর মুগডালের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। সময়মতো কৃষি বিভাগ থেকে বীজ ও প্রশিক্ষণ সহায়তা পাওয়ায় ফলন ভালো হয়েছে বলে মনে করছেন চাষিরা। ঝালকাঠির কৃষকদের উৎপাদিত এসব মুগ ডাল এখন জেলার চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এতে একদিকে যেমন ভালো দাম পাচ্ছেন চাষিরা, অন্যদিকে মুগ ডাল চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে তাদের।
দক্ষিণের জেলা ঝালকাঠিতে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মুগ ডাল চাষ। জেলায় এবছর মুগ ডালের বাম্পার ফলন হয়েছে, হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। প্রযুক্তির ব্যবহার এবং কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবছর প্রায় ৪০০ হেক্টর জমিতে মুগের আবাদ বেশি হয়েছে। জেলার ৪টি উপজেলায় এ বছর ২১০০ হেক্টর জমিতে মুগ ডালের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছিল এবং আবাদ হয়েছে ২৬০০ হেক্টর জমিতে। এর মাধ্যমে প্রায় ৪০ কোটি টাকার মুগ উৎপাদন হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ। রবি মৌসুমে পতিত থাকা জমিতে মুগ ডালের চাষ করছেন কৃষকরা। বিশেষ করে বারি মুগ-৬ ও বারি মুগ-১৪ জাতের আবাদ স¤প্রসারণ বেশি হয়েছে জেলায়। ফলন আসার পরে ৩ ধাপে মুগ ডাল উত্তোলন করতে পারেন ডাল চাষিরা। মুগ ডাল উত্তোলনে পুরুষদের পাশাপাশি শ্রম দিচ্ছেন নারীরা। সকাল ৫টা থেকে সকাল ৮টা এবং বিকাল ৪টা থেকে সন্ধা ৬টা পর্যন্ত মাঠ থেকে মুগ তোলেন কৃষকরা। উৎপাদন ভালো এবং লাভ বেশি হওয়ায় নতুন নতুন কৃষি উদ্যোক্তরা আগ্রহী হচ্ছেন মুগ ডাল চাষে।
কয়েকজন মুগ ডাল চাষি বলেন, এ বছর মুগ ডার চাষ লাভজনক হয়েছে। সেচ ও সার ছাড়াই ভালো ফলন পাওয়া যায়। অপর মুগডার চাষী আ: জব্বারের স্ত্রী হালিমা বেগম জানান, মূলত মুগডাল প্রক্রিয়াজাতকরণের বেশিরভাগ কাজ মহিলাদের করতে হয়। যেমন ক্ষেত থেকে তোলা, মাড়াই, ঝাড়ানো, শুকানোসহ সকল কাজই মহিলাদের হাতে করতে হয়।
ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম বলছেন, প্রকৃতি অনুকূলে থাকায় ও কৃষি বিভাগের পরামর্শে সঠিক পরিচর্যা করায় ঝালকাঠিতে মুগ ডালের বাম্পার ফল হয়েছে। মুগ ডাল একটি সুস্বাদু ও ডালজাতীয় পুষ্টিকর ফসল এবং মুগের রয়েছে কিন্তু বহুমুখী ব্যবহার। বিশেষ করে মুগ যেমন ডাল হিসাবে খাওয়া হয় তেমনি কিন্তু মুগের ডাল হিসাবে ভেজে বাজারজাত করা হয়। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও প্রায় ২৬০০ হেক্টর জমিতে মুগের আবাদ হয়েছে যা গত বছরের তুলনায় ৩০০ হেক্টর বেশি। মুগ একটি লাভজনক ফসল কারণ এতে সেচ ব্যবস্থা বেশি দরকার হয় না, এতে কম পরিমাণে সার দিতে হয়। মুগ রোপনে মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পায়।