ঝালকাঠি
ঝালকাঠিতে মাদরাসা সুপার ও মৌলভীকে পেটানোর অভিযোগ অফিস সহায়কের বিরুদ্ধে
নিজস্ব প্রতিবেদক : ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় নিয়োগ ও জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে সোনারগাঁও আরুয়া হাসানিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার ও সহকারি মৌলভীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে একই প্রতিষ্ঠানের অফিস সহায়ক আলম সিকদারের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকালে উপজেলার সোনারগাঁও আরুয়া হাসানিয়া দাখিল মাদরাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে ।
আহত মৌলভী আবুল কালাম সিকদার অভিযোগ করে বলেন, অফিস সহায়ক আলম সিকদারের সঙ্গে মাদরাসার দুটি পদে নিয়োগ ও জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। তিনি তার ভাই সজিব সিকদারকে মাদরাসার একটি পদে চাকরি দেওয়ার জন্য আমাদের চাপ দেয়।
তখন আমি ও মাদরাসার সুপার আলম সিকদারকে জানিয়েছি যে তোমরা নিয়ম মেনে আবেদন করো, যোগ্যতা থাকলে চাকরি হবে। কিন্তু এসব কথা না শুনে সে আমাদের সঙ্গে বিরোধ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকালে আমি রাজাপুর থেকে মাদরাসায় যাওয়ার পথে স্থানীয় রশিদ সিকদারের বাড়ির সামনে আলম সিকদার তার ভাই সজিব সিকদার আমার ওপর দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে হামালা চালায়। আমাকে বেধড়ক মারধর করে।
আবুল কালাম সিকদার আরও বলেন, তখন আমার ডাক চিৎকারে মাদরাসার সুপার আব্দুস সালাম সিকদার আমাকে উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে আসলে তাকেও পিটিয়ে আহত করে তারা। আমার বাবা আমাকে উদ্ধার করার জন্য আসলে তাদেরকেও মারধর করে আহত করে আলম সিকদার ও তার ভাই সজিব সিকদার।
জানতে চাইলে আলম শিকদার বলেন, আমরা সম্পর্কে চাচাতো ভাই। পারিবারিক বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে কলহ হয়। এখানে মাদরাসার বিষয় নিয়ে কোনো কলহ-বিবাদ হয়নি। আর মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আমাদের দাদারা। তিনি বলেন, আমরা একই মাদরাসায় চাকরি করেন। আর এই বিবাদ মাদরাসার মধ্যে বসে হয়নি হয়েছে বাড়িতে উঠানে বসে। রাজাপুর থানার ওসি মু. আতাউর রহমান বলেন, মাদরাসার দুজন শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।