পিরোজপুর
জীবন রক্ষা করছে ‘জীবন তরী’
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার পোনা নদীর স্টিমার ঘাট এলাকায় অবস্থান করছে ভাসমান হাসপাতাল ‘ইম্প্যাক্ট জীবন তরী’। বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) শুরু হবে চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং আগামী ৩ মাস এখানে অবস্থান করবে।
এই হাসপাতালে স্বল্পমূল্যে চক্ষু রোগের চিকিৎসা ও ছানি অপারেশন, রোগীর চাহিদা অনুযায়ী লেন্স সংযোজন ও ফ্যাকো সার্জারির ব্যবস্থা, নাক-কান-গলা, জন্মগত মুগুর-পা, বাঁকা-পা, ঠোঁটকাটা ও তালুকাটা রোগীর চিকিৎসা ও অপারেশন, অর্থপেডিক সমস্যাজনিত শারীরিক ব্যথা, মাজা ব্যথাসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা প্রদান করা হবে। এখানে আধুনিক অপারেশন থিয়েটারে বিশেষজ্ঞ সার্জন দ্বারা অপারেশন করার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া বিকালঙ্গ ও পঙ্গু রোগীর সহায়ক সামগ্রী প্রদান করা হবে।
এই হাসপাতালে ৪ জন এমবিবিএস ডাক্তার, ৪ জন অভিজ্ঞ নার্স ও টেকনোলজিস্টসহ মোট ৩৫ জনের একটি টিম কাজ করবে।
এই ভাসমান হাসপাতালের প্রশাসক মো. আলাউদ্দিন জানান, হাসপাতালে ৫০ টাকার টিকেট কেটে চিকিৎসা নেওয়া যাবে। তবে অপারেশন পূর্ব বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য টেস্টের আলাদা খরচ রোগীকে বহন করতে হবে। অপারেশন করা রোগীরা হাসপাতালে থাকবেন এবং তাদের খাবার হাসপাতাল থেকে দেওয়া হবে যার জন্য আলাদা খরচ দিতে হবে। তবে অসহায় ও গরীব রোগীদের জন্য বিশেষ ছাড় রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়াও প্রতিবন্ধীত্ব ও ধাতু রোগ প্রতিরোধে শিক্ষক, ইমাম ও সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মী এবং পল্লি চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। এই হাসপাতালে জরুরি প্রয়োজনে রোগী রেফার করতে নদী পথে স্পিড বোট ও সড়ক পথে অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
১৯৯৯ সালে ইমপ্যাক্ট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশে জীবন তরী চালু করে। এই আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থাটি প্রতিবন্ধী ও দরিদ্রদের সাহায্য করে। যেসব এলাকায় চিকিৎসা সুবিধা অত্যন্ত অপ্রতুল এবং নদীপথে যাতায়াত করা যায়, সেখানে গিয়ে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে জীবন তরী।