বরিশাল
জনবলের অভাবে সেবার মানে পিছিয়ে মেহেন্দিগঞ্জ সমাজসেবা কার্যালয়
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ জনবলের অভাবে পিছিয়ে আছে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা দপ্তরটি। কাগজে কলমে ১৮ জন কর্তা-কর্মচারী থাকার কথা কিন্তু এই দপ্তরে আছেন অফিস সহায়ক, নিরাপত্তা প্রহরী, কারিগরি প্রশিক্ষক, ফিল্ড সুপার ভাইজার ও সমাজসেবা অফিসার মাহামুদুল হাসান সহ মোট ৫ জন। সরেজমিনে দেখাযায়, দপ্তরে বহু দূর দূরান্ত থেকে বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা আসছেন বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে, কারো গেজেট সমস্যা কারো ব্যাংক একাউন্টে। বর্তমানে মুক্তিভাতা অনলাইন একাউন্ট করাতে বিপাকে পড়েছেন ভাতাভোগীরা। ৫৬১ জন মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে প্রায়ই অনলাইনে সম্পন্ন হলেও এখনও বাকী আছেন ৫০/৫৫ জনের ব্যাংকে একাউন্টে অনলাইন না হওয়াতে অনিশ্চয়তার মধ্যে তারা। উত্তোলন করতে পারছেন না ভাতার টাকা। মানবেতর জীবনযাপন করছে কয়েক মাস পর্যন্ত।
উপজেলা সমাজ সেবা দপ্তরে প্রায় ৩০ হাজার বিভিন্ন ভাতা ভোগী। দপ্তরে বছরের কাজ সম্পন্ন করতে হিমশিম খাচ্ছেন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, পঙ্গু ভাতা, মাতৃত্ব ভাতা নিয়ে মোট ত্রিশ হাজার ভাতা ভোগীর একমাত্র দপ্তর সমাজসেবা। এই দপ্তরে বিগত একযুগে কোটি টাকা সুদমুক্ত ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ হলেও খেলাপী ঋণ পড়ে আছে অর্ধ কোটি টাকার। জনবলের অভাবে উত্তোলন হচ্ছে না খেলাপী ঋণের টাকা। এ বিষয়ে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মাহামুদুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, সকাল সন্ধ্যা কাজ করেও হিমশিম খাচ্ছি, মুক্তিযোদ্ধাদের অনলাইন একাউন্টসহ ভাতার কাজ অফিস সহায়ক মুন্নাকে দিয়ে কম্পিউটারের কাজগুলো করাচ্ছি অথচ ওর কাজ কিন্তু এটা না।
দপ্তরে থাকার কথা ১৮ জন কিন্তু এমএল এসএস ও নাইট গার্ডসহ আছি ৫ জন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জনবল চেয়ে আবেদন করেও প্রতিকার পাচ্ছি না।