গৌরনদী
চলো স্কুলে যাই- পড়া শেষে একসঙ্গে দুপুরের খাবার খাই
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ‘চলো মোরা স্কুলে যাই, পড়া শেষে একসাথে দুপুরের খাবার খাই’ সামনে রেখে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে ১০ টাকার টিফিন কার্যক্রম মিড ডে মিল। এ যেন শুরু হয়েছে একটি স্বপ্নযাত্রার।
প্রাথমিকভাবে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার পিছিয়ে পরা ১৬টি বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে শতভাগ উপস্থিতি বৃদ্ধি ও বিদ্যালয়মুখী করা, পুষ্টি চাহিদা পূরণ এবং ধনী-গরিব ভুলে মাসে অন্তত দুইদিন ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের অংশগ্রহণে একসঙ্গে সবাই দুপুরের খাবার খাওয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
এর মাধ্যমে মনের দূরত্ব যেমন ঘুচবে, তেমনি শিশুরা মাসে অন্তত দুই দিন সকল সহপাঠীদের সঙ্গে একই ধরনের খাবার খেতে পারছে। এতে কে গরিব আর কে ধনী এর পার্থক্য থাকছে না। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সবাই একই খাবার খেয়ে থাকেন।
গৌরনদী উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা শিক্ষা অফিসের যৌথ আয়োজনে ব্যতিক্রমধর্মী এ উদ্যোগ এখন স্বপ্ন নয়, বাস্তবে রূপ নিয়েছে। আর এ উদ্যোগের প্রথম স্বপ্ন দেখেছেন গৌরনদী উপজেলার নির্বাহী অফিসার বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস। তিনি এ উদ্যোগের নামকরণ করেছেন ‘স্বপ্নযাত্রা’। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, প্রতিটি বিদ্যালয় একটি জ্ঞানকোষ ও উন্নয়নের সিঁড়ি। আজকের শিশুরাই আগামীদিনের ভবিষ্যত। তাই তাদের সাফল্য, ভবিষ্যত বাংলাদেশের সাফল্য। ফলে এসব শিশুদের নিয়ে প্রতিনিয়ত স্বপ্ন দেখি।
গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে গৌরনদী উপজেলার পিছিয়ে পরা ১৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বেঁছে নেওয়া হয়েছে। ওই ১৬টি প্রতিষ্ঠানে রান্নার জন্য দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি।
সোমবার দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ চাঁদশী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করে ইউএনও, উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শিশুদের সঙ্গে একসঙ্গে মিড ডে মিলে অংশগ্রহণ করেন। ওই সময় তারা খাবার গ্রহণ বাবদ পাঁচ শ’ টাকা করে দিয়েছেন। সঙ্গে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা জনপ্রতি ১০ টাকা করে দিয়েছে। বিনিময়ে যৌথ প্রয়াসে মিড ডে মিলে সবজি ও ডাল মিশ্রিত খিচুরির সঙ্গে পেয়েছেন একটি করে ডিম।