চরামদ্দী ইউপি চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থী হতে গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছেন যুবলীগ নেতা মঈন!

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
যুবলীগ নেতা মোঃ নাজমুল হাসান মঈনকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চান বাকেরগঞ্জের চরামদ্দী ইউনিয়নের বাসিন্দারা। এলাকার ভোটাররা বলছেন, মঈনকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে পেলে স্বস্তিতে দিন যাপন করতে পারবেন তারা। তাদের দৃষ্টিতে ইউনিয়নের উন্নয়নের জন্য চেয়ারম্যান হিসেবে তার বিকল্প কেউ নেই। এদিকে, যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসান মঈনও সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখছেন এলাকার মানুষের। দিন নেই রাত নেই যখনই কারো বিপদ-আপদের শুনছেন ছুটে যাচ্ছেন। সাধ্যমত সহায়তা করছেন।

সূত্র মতে, বরিশাল আওয়ামী লীগের অভিভাবক মানা হয় জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মন্ত্রী আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপিকে। তার পুত্র বরিশাল সিটি করপোরেশেনর মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর অনুসারী হিসেবেই রাজনীতি করে চলছেন যুবলীগ নেতা মঈন।

জানা গেছে, ১৫ সেপ্টেম্বর মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর বাসভবনের আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সে সময় মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ চরামদ্দী ইউনয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীতার বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলেও মঈনকে আশ্বস্ত করেছেন।

এলাকার মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা এবং বরিশালের রাজনীতির উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সুনজের থাকায় আগামী ২০২১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যুবলীগ নেতা মঈনের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী হওয়া প্রায় নিশ্চিত বলে মনে করছেন অনেকেই।

চরামদ্দী ইউনিয়নের বাসিন্দারা বলছেন, দীর্ঘ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায়। তাই দলের আস্থাভাজন কোনো নেতাকে চেয়ারম্যান হিসেবে পেলে এলাকার উন্নয়ন ঘটবে। এক্ষেত্রে যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসান মঈন অন্যান্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের তুলনায় অনেক বেশি এগিয়ে আছেন।

বরিশাল মহানগরের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোঃ নাজমুল হাসান মঈন একাধারে বরিশাল মহানগর মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের ১নং সাংগঠনিক সম্পাাদক, মহানগর যুবলীগ নেতা এবং চরামদ্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ১ নং সিনিয়র সদস্য পদে রয়েছেন। বিগত দিনে তিনি নিজ এলাকা চরামদ্দী ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের মাঝে নিজ অর্থায়নে এলাকার অসংখ্য কর্মহীন পরিবারে মাঝে খাদ্য সামগ্রী উপহার দেন।এছাড়াও তিনি এলাকার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন ও মসজিদ-মাদ্রাসায় অর্থ সহায়তা দিয়ে আসছেন।

চরামদ্দী ইউনিয়নের মরহুম মজিবুর রহমানের (জমাদ্দার) ছেলে নাজমুল হাসান মঈন ১৯৯৬ সালে ছাত্র রাজনীতিতে পা রাখেন। সেখান থেকেই ছাত্রলীগের বিভিন্ন মিছিল, মিটিং ও আন্দোলন সংগ্রামের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত রাখেন। ২০০১ সালে বরিশাল নগরীর ফলপট্টি এলাকায় ছাত্রদলের ক্যাডার বাহিনী তাকে কুপিয়ে জখম করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায়। এমনকি সেই সময় হামলার শিকার হয়েও বিএনপির করা তিনটি মিথ্যা মামলার আসামি হতে হয় তাকে।এছাড়াও সেরনিয়াবাত পরিবারের রাজনীতি করার কারণে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ও বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের কোন্দলের শিকার হয়ে মামলার আসামি হতে হয়েছিলো।

নাজমুল হাসান মঈন জানান, আমার রাজনৈতিক অভিভাবক বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ্ ভাই আমার প্রতি আন্তরিক ভালোবাসা ও আস্থাভাজন মনে করে ২০২১ সালের মার্চের ইউনিউওন পরিষদ নির্বাচনে বাকেরগঞ্জের ১ নং চরামদ্দী ইউনিয়নে নির্বাচন করার জন্য আমাকে নির্বাচনী কার্যক্রম করার নির্দেশনা দিয়েছেন। আমি চরামদ্দী ইউনিয়নের সাধারণ জনগনের পাশে থেকে আজীবন সেবা করার চেষ্ট করবো। সে আমাকে তার আস্থাভাজন মনে করে এই মহান দায়িত্ব দিয়েছেন, তার এই আস্থার জায়গা থেকে আমি আমার সবটুকু উজার করে দিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে থাকবো।