গৌরনদী
গৌরনদীতে উদ্ধারকৃত বোমা নিস্ক্রয় করলো সেনাবাহিনী
গৌরনদী প্রতিবেদক:: বরিশালের গৌরনদীর খাঞ্জাপুর গ্রাম থেকে ৫ টি হাতবোমা উদ্ধারে করে সেনাবাহিনী। শনিবার বোমাগুলো উদ্ধার করলেও এর তিনদিন আগ থেকেই স্থানটি ঘিরে রাখে গৌরনদী থানা পুলিশ। স্থানীয় সোবাহান মৃধা নামক ব্যক্তির বাসার পাশ থেকে শেখ হাসিনা সেনানিবাসের ক্যাপ্টেন সাতিলের নেতৃত্বে সকালে বোম্ব ডিসপোজাল টিমের সদস্যরা বোমাগুলো উদ্ধার করে। পরে দুপুর নাগাদ বোমাগুলো নিস্ক্রিয় করে সেনাবাহিনী সদস্যরা। গৌরনদী থানা পুলিশ জানায়, গত বুধবার স্থানীয়দের মাধ্যমে থানায় খবর আসে খাঞ্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা সোবাহান মৃধার বাড়ির টয়লেটের কাছে বোমা সাদৃশ্য বস্তু পড়ে আছে। পরে পুলিশের একটি টিম সেখানে গিয়ে ঘটনাস্থল চিহ্নিত করে এবং আশ-পাশে জনসাধারণ যেন প্রবেশ না করে এ জন্য বেস্টনি তৈরে করে ঘিরে রাখে। এনিয়ে গত তিন দিন ওই গ্রামের বাসিন্দারা আতঙ্কিত ছিল। এদিকে বোমা রহস্য ভেদে বরিশাল বাকেরগঞ্জের শেখ হাসিনা সেনানিবাসে সংবাদটি পৌঁছানো হলে সেখান থেকে শনিবার সকালে ক্যাপ্টেন সাতিলের নেতৃত্বে ‘বোমা নিস্ক্রিয়করণ’ টিমের সদস্যরা আসেন। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, সকল প্রস্তুতি শেষে বেলা আড়াইটার দিকে ক্যাপ্টেন সাতিলের নেতৃত্বে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা সোবাহান মৃধার বাড়ির কাছ থেকে একে একে ৫টি হাতবোমা উদ্ধার করে। এবং কসটেপে আবদ্ধ প্রতিটি বোমা পর্যায়ক্রমে বিশেষ পদ্ধতিতে নিস্ক্রিয় করে। বিষয়টি সময়ের আলোকে মুঠোফোনে নিশ্চিত করেন গৌরনদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরোয়ার। তবে এই বোমা কোথা থেকে এলো বা কারা এর সাথে জড়িত থাকতে পারে সেই সম্পর্কে পুলিশ নিশ্চিত হতে না পারলেও সেনাবাহিনীর টিম বলছে, স্থানীয় ব্যক্তি বিশেষের হাতে তৈরি হয়েছে বোমাগুলো। পুলিশ এখন সেই বোমা কারিগরকে খুঁজে বের কারার কথা জানিয়েছে। এদিকে স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, পার্শ্ববর্তী বাসা মালিক সোবাহান মৃধা বোমা তৈরির সাথে জড়িত থাকার কথা খাঞ্জাপুর গ্রামের চাউর রয়েছে। তিনি যে হাতবোমা বানাতে পারদর্শী তা পুলিশও অবগত। তাছাড়া বোমাগুলো তার বাসার কাছ থেকে উদ্ধারে তিনি সম্পৃক্ত আছেন, এমন গুঞ্জন জোরালো রুপ নিলেও পুলিশের নিরব থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এলাকাবাসী। এই প্রসঙ্গে ওসির বক্তব্য হচ্ছে, অনেকে অভিযোগ করলেও সোবাহান বোমা তৈরি সাথে জড়িত বা এই বোমার সাথে তার সম্পৃক্ততা আছে তার প্রমাণ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এই কারণে তদন্ত না করে আগেই কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না।’