জাতীয়
গরিবের স্বাস্থ্য সেবায় ১ হাজার ৮৮২ কোটি টাকার প্রকল্প
রির্পোট দেশ জনপদ ॥ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশের বিভিন্ন জায়গায় হাত ধোয়া স্টেশন নির্মাণ, গরিব মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ও নিরাপদ সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে ১ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যেগ নিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এটিসহ মোট পাঁচটি প্রকল্পের অনুমোদন পায়। এসব প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৩ হাজার ৩০৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে একটি প্রকল্প নতুন। বাকি চারটি সংশোধিত।
গণভবন থেকে সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে পরিকল্পনা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আসাদুল ইসলাম শেরেবাংলানগরের এনইসি ভবনে সংবাদ সম্মেলনে সভার বিস্তারিত তুলে ধরেন।
‘মানবসম্পদ উন্নয়নে গ্রামীণ পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি’ শীর্ষক এ প্রকল্পের আওতায় দেশের ৩০ জেলার ৯৮টি উপজেলায় দরিদ্র জনগণের জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন স্থাপন করা হবে।
এ ছাড়া করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্কুল ও গণজমায়েত স্থানে হাত ধোয়ার স্টেশন নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
বিশ্বব্যাংক ও এশীয় অবকাঠামো উন্নয়ন ব্যাংক (এআইআইবি) থেকে ৯৭ শতাংশ ঋণ নিয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
বাকি ২ শতাংশ টাকা নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেবে সরকার। স্থানীয় সরকার বিভাগের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। কাজ শেষ হবে ২০২৫ সালে।
নিরাপদ সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে ১ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যেগ নিয়েছে সরকার
প্রকল্পটির উদ্দেশ্য সম্পর্কে পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তরা বলেন, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ, স্বাস্থ্যসম্মত পয়োনিষ্কাশন বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো; স্কুল, কমিউনিটি ক্লিনিক ও গণজমায়েত হওয়ার স্থানে হাত ধোয়ার স্টেশন নির্মাণ এবং দরিদ্র জনগণের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন স্থাপন করা হবে।
একই সঙ্গে আর্সেনিক ও আয়রনের সমস্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের নির্বাচিত গ্রামগুলোতে পাইপলাইনের মাধ্যমে নিরাপদ পানি সরবরাহের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এই প্রকল্পের আওতায় পানির সুবিধাসহ হাত ধোয়া স্টেশন নির্মাণ করা হবে ৮৮২টি। নির্বাচিত এলাকায় অতিদরিদ্রদের জন্য ৩ লাখ ৫১ হাজার ২৭০টি টয়লেট, ৭৮টি লার্জ পাইপড ওয়াটার সাপ্লাই স্কিম, কমিউনিটি পর্যায়ে ৩ হাজার ৩৬৪টি পাইপড ওয়াটার সাপ্লাই স্কিম, ৩৫২টি পাবলিক স্যানিটেশন ও হাইজিন সুবিধা, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ৫০০টি স্যানিটেশন ও হাইজিন সুবিধা স্থাপন করা হবে।
একনেক সভায় অনুমোদন পাওয়া সংশোধিত অন্য প্রকল্পসমূহ হচ্ছে: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের নরসিংদী জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন এবং খুলনা শহরে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রিপেইড গ্যাসমিটার স্থাপন প্রকল্প।