কলাপাড়া
কুয়াকাটায় বিএনপি নেতার হোটেলে শ্রমিক দল নেতার হা..ম..লা
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় বিএনপি নেতার মালিকানাধীন আবাসিক হোটেলে শ্রমিক দলের নেতা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি হোটেল কর্তৃপক্ষের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে কুয়াকাটা মহাসড়ক সংলগ্ন আবাসিক হোটেল ‘সাগর’-এ হামলা চালান পৌর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. জলিল চুকানী ও তাঁর লোকজন। হোটেলটির মালিক পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি এম এ মান্নান চৌধুরী। হামলার সময় হোটেলে থাকা পর্যটকেরা আতঙ্কিত হয়ে চিৎকার করে আশ্রয় নেন আশপাশের হোটেলে। ঘটনার পর পর্যটকেরা অনেকেই হোটেল ছেড়ে অন্য হোটেলে চলে যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজনৈতিক বিরোধের জেরে পৌর বিএনপির সদস্য মো. শিরু মোল্লার ওপর হামলা চালান শ্রমিক দলের নেতা জলিল ও তাঁর লোকজন। এ সময় শিরুর সঙ্গে থাকা বিএনপির কর্মী বায়জিদ খানকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। বিষয়টি সমাধানে পৌর বিএনপি সালিস বৈঠক ডাকলেও তাতে শ্রমিক দলের কেউ হাজির হননি। এ নিয়ে পরে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে জলিলের বাগবিতণ্ডা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২৫-৩০ জন মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে এসে বিএনপির নেতা মান্নানের হোটেলে হামলা চালান।
মান্নান বলেন, ‘শ্রমিক দল বিএনপির অঙ্গসংগঠন। কিন্তু কুয়াকাটা পৌর শ্রমিক দলের অধিকাংশ নেতা-কর্মীর আচরণ ও কর্মকাণ্ড বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তাঁরা পৌর বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করছেন। শ্রমিক দলের কেউ কখনো মূল দলের মানুষের গায়ে হাত দিতে পারে না। আমি তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করব।’
জানতে চাইলে শ্রমিক দলের নেতা জলিল দাবি করেন, তাঁকে হোটেল সাগরের সামনে আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আমি ওখান থেকে বের হওয়ার জন্য শ্রমিক দলের নেতা-কর্মীদের আসতে বলি এবং তাঁরা এলে আমি বের হয়ে যাই। আমার নামে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তা মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।’
এ বিষয়ে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ফোর্স পাঠাই এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হই। হোটেল সাগরে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’