জাতীয়
কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ভাড়াটিয়ার মেয়েকে হত্যা বাড়িওয়ালার আটক
রিপোর্ট দেশজনপদ॥ কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ভাড়াটিয়া কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তার চার বছর বয়সী শিশুসন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সোহেল মিয়া নামের ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি পৌর শহরের পলতাকান্দা গ্রামের মৃত মজিদ মিয়ার ছেলে।
নিহত শিশুটির নাম নদী। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে ।
নিহত শিশুর বাবা জাকির হোসেনের ভাষ্যমতে, পাঁচ ছয় মাস আগে তারা পৌর শহরের পলতাকান্দা গ্রামে সোহেলের বাড়িতে ঘরভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। নিহত নদী তাদের একমাত্র কন্যাসন্তান। কয়েকদিন ধরে বাড়িওয়ালা সোহেল নদীর মাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এতে রাজি না হওয়ায় তিনি তার মেয়েকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন ও হত্যার হুমকি দিতেন।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতেও সোহেল কুপ্রস্তাব দেন। এতে তিনি ব্যর্থ হয়ে রাতেই নদীকে মুড়ি খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে তুলে নিয়ে যান। নদীর মা তার পিছু পিছু গিয়েও মেয়েকে খুঁজে পাননি। পরে এলাকার মসজিদের মাইকে বিষয়টির ঘোষণা দেওয়া হয় এবং আত্মীয়-স্বজনদের খবর দেন ওই নারী। তবে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও নদীর সন্ধান পাওয়া যায়নি।
রাতে বিষয়টি ভৈরব থানা পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ এসে পলতাকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ব পাশে ময়লা-আবর্জনা ও কচুরিপানার ঝোপ থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, ধারণা করা হচ্ছে গলায় গামছা বা কাপড় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে কীভাবে মারা গেছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বাড়ির মালিক সোহেলকে আটক করা হয়েছে।