বরিশাল
কিশোরীকে অপহরণ করে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ১০ বছর পর দুইজনের যাবজ্জীবন
বরিশালের বাকেরগঞ্জে কিশোরীকে অপহরণ করে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় দুজনকে দুই ধারায় যাবজ্জীবন এবং ১৪ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. ইয়ারব হোসেন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, বাকেরগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ভাতশালা গ্রামের আউয়াল রাঢ়ি ও তৌকির সন্যামত।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী কাজী মো. হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এজাহারের বরাতে তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৭ জুন সন্ধ্যায় প্রেমের সম্পর্কে ১৬ বছর বয়সী কিশোরী তার প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে লঞ্চে চড়ে বাকেরগঞ্জ ডিসি ঘাটে নামে। সেখানে নামার পর প্রেমিকাকে লঞ্চঘাটে রেখে প্রেমিক টাকা আনতে যান। এ সময় আউয়ালসহ কয়েকজন প্রেমিককে মারধর করে কিশোরীকে অপহরণ করেন। পরে পশ্চিম ভাতশালা গ্রামের শংকর সাধুর বাড়ির পুকুর পাড়ে নিয়ে তৌকির ও আউয়াল তাকে ধর্ষণ করেন। পরে কিশোরীকে সেখান থেকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে।
কিশোরীর কাছ থেকে ঘটনা শুনে তৌকির ও আউয়ালকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা। পরে কিশোরী বাদী হয়ে দুজনকে আসামি করে বাকেরগঞ্জ থানায় মামলা করে। বাকেরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাছুম তালুকদার একই বছরের ৫ আগস্ট দুজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। বিচারক সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে রায় দেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী আরও বলেন, রায়ে অপহরণের অভিযোগে দুজনকে ১৪ বছর করে কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া ধর্ষণের অভিযোগে দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামি দুজনই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।