আন্তর্জাতিক
আরও দুই জিম্মির মরদেহ ফেরত দিচ্ছে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী
নতুন করে ইসরায়েলের কাছে আরও দুই জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে তারা।
এরআগে গতকার এক জিম্মির মরদেহ গাজা থেকে ইসরায়েলের কাছে তুলে দেওয়া হয়। আজ আরও দুই জিম্মির মরদেহ ফেরত দিলে হামাসের কাছে আর মাত্র ১৩ জিম্মির মরদেহ অবশিষ্ট থাকবে।
এ দুটি মরদেহ ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাধীনতাকামী এ গোষ্ঠী।
গতকাল যার মরদেহ ফেরত দেওয়া হয়েছে তার নাম মেজর তাল হাইমি বলে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েল।
মিসরের প্রভাবশালী গোয়েন্দা প্রধান হাসান রাসাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। মঙ্গলবার জেরুজালেমে আলোচনায় বসেন তারা।
নেতানিয়াহুর দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি চুক্তি এগিয়ে নেওয়া, ইসরায়েল ও মিসরের মধ্যে সম্পর্কন্নোয়ন এবং আঞ্চলিক বিষয়াবলী নিয়ে এ দুজনের আলোচনা হয়েছে।
দুই সপ্তাহ আগে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে। তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধবিরতিটি ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এমন অবস্থায় ইসরায়েলের গেলেন মিসরের গোয়েন্দা প্রধান। এছাড়া একইদিনে ইসরায়েলে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স। তারও আগে ইসরায়েলে পৌঁছান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকোফ এবং জের্ড ক্রুসনার।
যুদ্ধবিরতি ভেঙে গত রোববার গাজায় ব্যাপক হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনারা। এতে ওইদিনই ৪৫ দিনের মৃত্যু হয়। অপরদিকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও দখলদাররা আরও ৯৭ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। রোববার সারাদিন হামলার পর রাতের দিকে আবারও যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ঘোষণা দেয় ইসরায়েল।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর অব্যাহত রাখা এবং ২০ দফা গাজা শান্তি পরিকল্পনার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ধাপ নিয়ে আলোচনা শুরু করার জন্য মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বিশেষ দুই দূতকে ইসরায়েলে পাঠিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সূত্র: আলজাজিরা, টাইমস অব ইসরায়েল