উজিরপুর
বরিশালে প্রবাসীর মা-স্ত্রী সন্তানদের ঘর থেকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র!
নিজস্ব প্রতিবেদক : ভাই বিদেশ প্রবাসী থাকায় তার উপার্জনের অর্থ দিয়ে করা দালান দখল করে মা-স্ত্রী ও সন্তানদের ঘর থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে তারই আপন ভাই মৃত বাবুল বালীর স্ত্রী সালমা জাহান ও দুই মেয়ে নুসরাত জাহান বর্ষা, ইসরাত জাহান বর্ষা এরা মিলে। প্রবাসীর স্ত্রী মোসামাৎ সাবিকুন নাহার ও তার তিন শিশু সন্তান ও প্রবাসীর মাকে বিল্ডিং থেকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র দীর্ঘদিন থেকে করে আসছে ননদরা।
তাদের আত্যাচারে দিন দিন অতিষ্ঠ হয়ে উছেঠে পরিবারটি। শুধু তাই নয় এদের বিরুদ্ধে চুরি, মারধর, ভাঙচুর, হত্যার হুমকি ও অবৈধভাবে গৃহে প্রবেশ করে সম্পদ লুট করার ঘটনায় বরিশাল জেলা উজিরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী মোসাঃ সাবিকুন নাহার নামে এক নারী। শুধু তাই নয় তিনি অভিযোগ আকারে বলেনছেন, অভিযোগকারী হলেন বরিশাল জেলার উজিরপুরের সাতলা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ হাবিবুর রহমান বালী স্ত্রী এবং দক্ষিণ সাতলা গ্রামের বাসিন্দা আ: মান্নান মাস্টার মেয়ে।
অভিযুক্তরা হলেন, একই এলাকার এক বাড়ির মৃত বাবুল বালীর স্ত্রী মোসাঃ সালমা জাহান, নুসরাত জাহান বুশরা, ইসরাত জাহান বর্শা।
ভুক্তভোগী প্রবাসীর স্ত্রী সাবিকুন নাহার বলেন, আমার স্বামী হাবিবুর রহমান বালী একজন মালেশিয়ান প্রবাসী। র্দীঘ দিন ধরে বিদেশে রয়েছেন। তিনি জীবন বাজি রেখে পরিবারের জন্য উর্পাজন করে যাচ্ছে। এবং সন্তানদের ভবিৎষতের কথা চিন্তা করে আমার স্বামী হাবিবুর রহমান তার নিজ পৈত্তিক সম্পত্তিতে একটি দালান ঘর নির্মান করেন। আর সেই দালান ঘরেরে উত্তর পাশের একটি ইউনিটে আমি আমার নাবালক সন্তান ও বৃদ্ধ শ্বাশুড়িকে নিয়ে ২০০৯ সাল থেকে বসবাস করিয়া আসছি। আমার স্বামী তারা তিন ভাই। কিন্তু তার ভাই দেলোয়ার বালী, হারুন বালী, বাবুল বালী জীবিত থাকাকালীন ২০১২ সনে এবং আমার দুই ননদ (বেবী আক্তার ও পারভীন আক্তার) সহ অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনের উপস্থিতিতে মৌখিকভাবে উক্ত উত্তর পাশের ইউনিটটি আমাকে ভাগ করে দেন। যাহা নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লিখিত রয়েছে। এই সম্পত্তিগত কারণে বিবাদীদের সাথে আমাদের পূর্ব হতেই বিরোধ চলিয়া আসিছে। তারই ধারাবাহিকতা হিসেবে গত ৩০/০৯/২০২৫ তারিখে আমি আমার কক্ষে তালা দিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে গেলে বিবাদীগণরা আমার বৃদ্ধ শ্বাশুড়িকে তার রুম থেকে বের করে দেন। এবং ভবনের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দিয়েও তারা তাতে শান্ত হয়নি। গত ০৪/১০/২০২৫ তারিখে বিবাদীগণ আমার কক্ষের তালা ভেঙ্গে সমস্ত আসবাবপত্র ভাঙচুর করে বাহিরে ফেলে দেয় এবং পাঁচ ভরি স্বর্নলঙ্কার সহ অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী লুটপাট করে নিয়ে যায়। বিষয়টি জেনে আমি বাড়িতে এসে তাদের কাছে জিজ্ঞেস করি এবং মালামাল ভাংচুরের ঘটনায় বাধা প্রদান করিলে, বিবাদীগণরা আমাকে মারধর করে আহত করেন এবং আমার হাতে থাকা ১৬ হাজার টাকা মূল্যের মোবাইল ফোনটি ভেঙে ফেলে। শুধু তাই নয়, আমার কোলের শিশুকন্যাকে মারধর করে এবং হত্যার হুমকি দেয়। কোন উপায় না পেয়ে জীবন রক্ষার জন্য পুলিশের ৯৯৯ নম্বরে ফোন করি। পরে ঘটনাস্থলে উজিরপুর থানার পুলিশ আসেন। উনারা সমস্ত ভাংচুর দেখে বিবাদীদের কাছে জানতে চাইলে তারা সবকিছু স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী প্রবাসীর স্ত্রী মোসাঃ সাবিকুন নাহার।
তিনি আরো বলেন, বিবাদীগণ বাহিনীর হাত থেকে আমি বাচার জন্য উক্তঘটনাটি নিয়ে উজিরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। পাশাপাশি বরিশাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৭ ধারায় একটি ফোসদারী মামলা দায়ের করি। যার মামলা নং-৭০৮। বর্তমানে মামলাটি আদালতে চলমান রয়েছে। এদিকে থানায় অভিযোগ দায়ের পর থেকেই বিবাদীগণরা আমাকে বিভিন্ন হুমকি দামকি দিয়ে যাচ্ছে। পরে বিয়টি নিয়ে এবং প্রবাসীর স্ত্রী মোসাঃ সাবিকুন নাহার ও তার সন্তানদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য সাবিকুন নাহার উজিরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
প্রবাসীর স্ত্রী মোসাঃ সাবিকুন নাহার আরো বলেন, আমি এবং আমার সন্তানেরা বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। আমরা রাস্তা থেকে হেটে গেলেও বিবাদীগনরা পরিকল্পিত ভাবে আমাদের সাথে নতুন করে বিরোধী সৃষ্টি করার চেষ্টা চায়। তাই আমি আমার সন্তানদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের কাছে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। তবে জানা গেছে বিবাদীগণরা এলাকার কিছু নামধারী বিএনপির নেতার শেল্টারে থেকেই এলাকায় একের পর এর অপকর্ম করে যাচ্ছে।