বরিশাল
ভুতুড়ে মামলায় নোয়াখালীর সাংবাদিক গ্রেপ্তার, বরিশাল কারাগারে প্রেরণ
নিজস্ব প্রতিবেদক : নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার সাংবাদিক জসিম উদ্দিনকে একটি রহস্যজনক ভুতুড়ে মামলায় আটক দেখিয়ে নোয়াখালী কারা কর্তৃপক্ষ আজ শনিবার সকালে তাকে বরিশালে প্রেরণ করেছে। এর আগে গত বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে সেনবাগ থানা পুলিশ সোনাইমুড়ী শহরের ভাড়াবাসা থেকে সাংবাদিক জসিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন’ পত্রিকার সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রতিনিধি এবং উপজেলার নদনা ইউনিয়নের কালুয়াই গ্রামের মৃত আবদুল জলিলের ছেলে।
সাংবাদিক জসিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের কারণ হিসেবে সেনবাগ থানা পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আলী জানান, ২০১৯ সালের মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় তাকে আটক করা হয়েছে। তবে এই মামলার ওয়ারেন্টে তার পিতার নাম ‘অজ্ঞাত’ দেখানো হয়েছে এবং ঠিকানা হিসেবে সেনবাগ উপজেলার ছাতারফাইয়া ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রামে তার শ্বশুরবাড়ির ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত সাংবাদিকের স্ত্রী ছালেহা বেগম এই ঘটনাকে পরিকল্পিত হয়রানি হিসেবে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “আমার স্বামী কখনো বরিশাল যাননি বা সেখানে কোনো অপরাধ সংঘটিত করেননি। তার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার কোনো কারণ নেই। তাছাড়া তার নিজস্ব ঠিকানা সোনাইমুড়ীতে হলেও সেনবাগ থানায় তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হওয়াটা পরিকল্পিত। বিভিন্ন সময়ে অপরাধীদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জেরেই কোনো অপরাধী চক্রান্ত করে বরিশাল আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এটা একটি ভুতুড়ে মামলা।”
বৃহস্পতিবার দুপুরে আটক সাংবাদিক জসিম উদ্দিনকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। এসময় তার পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাকিল আহমেদ জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন শুনানির জন্য আগামীকাল রবিবার দিন ধার্য করে সাংবাদিক জসিম উদ্দিনকে হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
সাংবাদিক জসিম উদ্দিনকে এভাবে ‘ভুতুড়ে’ মামলায় দূরবর্তী একটি জেলার কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়ায় স্থানীয় সাংবাদিক মহলে ক্ষোভ ও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। জামিন শুনানির দিকে এখন সবার দৃষ্টি রয়েছে।
এদিকে সোনাইমুড়ী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম জানিয়েছেন, সেনবাগ থানা পুলিশ সোনাইমুড়ীতে অভিযান পরিচালনার জন্য তাদের কাছে লিখিত কোনো অনুমতি বা স্থানীয় পুলিশের সহায়তা চাননি।”