পিরোজপুর
কৌশলে জমি লিখে নিয়ে মা-বাবাকে বাড়িছাড়া করার অভিযোগ
পিরোজপুরের নেছারাবাদে এক পাষণ্ড ছেলের বিরুদ্ধে কৌশলে ২২ শতক জমি লিখে নিয়ে মা-বাবাকে নির্মমভাবে মারধর ও বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৬ অক্টোবর রাতে ছেলে ও পুত্রবধূর নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রবীণ দম্পতি ১০ দিন ধরে নিজ বাড়িতে প্রবেশ করতে পারছেন না বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী বাবা মো. শাহাদাৎ হোসেন (৬০) এবং মা মমতাজ বেগম (৫০) এই ঘটনায় তাঁদের বড় ছেলে মো. মিলন এবং পুত্রবধূ রুবি বেগমের বিরুদ্ধে নেছারাবাদ থানায় অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়নের মুসলিমপাড়া গ্রামে।
বৃদ্ধ শাহাদাৎ হোসেনের অভিযোগ, তাঁর তিন ছেলের মধ্যে মিলনবড়। স্ত্রীসহ নিজের চিকিৎসার জন্য মিলনের কাছ থেকে তিনি কিছু টাকা ধার নিয়েছিলেন। এই সুযোগে ছেলে কৌশলে তাঁর ২২ শতক জমি নিজের নামে লিখে নিয়েছেন।
শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘আমরা এখন বাড়ি থেকে কোনো ফল-ফসল ধরতে পারি না। ৬ অক্টোবর সকালে বাগানের কিছু সুপারি পাড়ার কারণে ছেলে মিলন ও পুত্রবধূ রুবি বেগম মিলে আমাদের নির্মমভাবে মারধর করে। তাদের বেদম প্রহারে আমার দুটি দাঁত পড়ে গেছে। এখন আবার বাকি জমিটুকুও লিখে দিতে বলছে।’
মা মমতাজ বেগম বলেন, ‘ছেলে কৌশলে জমি লিখে নিয়ে এখন আমাদের কাছে টাকা চাইছে। বাকি জমিও লিখে দিতে বলছে। সেদিন (৬ অক্টোবর) ওর বাপকে বেদম মারধর করেছে। আমি রক্ষা করতে কাছে গেলে আমাকেও খুব মেরেছে।’
আটঘর কুড়িয়ানা ইউপি সদস্য মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘ওই বৃদ্ধ দম্পতি খুবই অসহায়। তাঁদের ছেলে মিলন কারও কথা শোনে না, তাই আমি তাঁদের থানায় যেতে বলেছি।’
ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. রুহুল আমীন বলেন, ‘তাঁদের ছেলে খুবই খারাপ। জমির জন্য তাঁদের মারধর করে। কয়েক দিন আগে রাতে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। ওই পাষণ্ড ছেলের কঠিন শাস্তি হওয়া দরকার।’
নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বনি আমিন এ বিষয়ে বলেন, ‘তাঁরা যেন থানায় এসে আমার সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন। আমি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।’