কুয়াকাটা
ভ্যাট কর্মকর্তার অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে কুয়াকাটায় ব্যবসায়ীদের আল্টিমেটাম
কুয়াকাটায় ভ্যাট কর্মকর্তার অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয় হোটেল-মোটেল মালিকরা। শনিবার (১১ অক্টোবর) বেলা ১১টায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল মো. সাইদ হাসান লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ৮ অক্টোবর বিকেল ৪টার দিকে সহকারী কমিশনার (ভ্যাট) এ. কে. এম. জামিউল আলম কুয়াকাটার সৈকত হোটেলে গিয়ে ভ্যাট সংক্রান্ত বিষয়ে হোটেলের ম্যানেজারের সঙ্গে অত্যন্ত অশোভন আচরণ করেন। ওই সময় হোটেল মালিক উপস্থিত না থাকায় ম্যানেজার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে, ভ্যাট কর্মকর্তা ক্ষিপ্ত হয়ে সভাপতির সম্পর্কে অশালীন ও অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও দাবি করা হয়, এ ঘটনার ভিডিওচিত্র সংগঠনের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। বক্তারা বলেন, “একজন সরকারি কর্মকর্তার এ ধরনের অসৌজন্যমূলক আচরণ সরকারি সেবার মর্যাদাকে কলঙ্কিত করেছে।
এ বিষয়ে হোটেল সৈকতের ম্যানেজার রাজিব বলেন, ভ্যাট কর্মকর্তা জামিউল ইসলাম এসেই খারাপ ব্যবহার শুরু করেন। বিষয়টি আমার কর্তৃপক্ষকে জানানোর জন্য মোবাইল ফোন বের করলে তারা মোবাইল ফোন কেড়ে নিতে চান। এবং হোটেল মোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিকে খারাপ উচ্চারণ ব্যবহার করে গালাগাল করেন। তিনি একজন সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার আচারণে আমরা হতাশ।
অ্যাসোসিয়েশন দাবি জানায়, সহকারী কমিশনার (ভ্যাট) এ. কে. এম. জামিউল আলমকে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পটুয়াখালী থেকে প্রত্যাহার করতে হবে এবং তাঁর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় কুয়াকাটা পর্যটন এলাকায় সকল ব্যবসায়ী সংগঠনকে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভ্যাট) এ. কে. এম. জামিউল আলম বলেন, আমরা ভ্যাট জরিপে কুয়াকাটা গিয়েছিলাম। কোনো অসৌজন্যমূলক আচরণ করিনি, বরং হোটেল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ব্যর্থ হয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করেছে।
তবে অসদাচরণ ও মোবাইলফোন কেড়ে নেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, ঘটনাস্থলে রাজস্ব কর্মকর্তার উপস্থিতির বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি।