আন্তর্জাতিক
ফ্লোটিলার ১৩ জাহাজ আটকে দিয়েছে ইসরায়েল, ৩০টি এখনো যাচ্ছে
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার দিকে এগিয়ে যাওয়া ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র ত্রাণবাহী জাহাজগুলোর কয়েকটি আটকে দিয়েছে ইসরায়েল। এসব জাহাজের নিয়ন্ত্রণও নিয়েছে দেশটির বাহিনী।
আজ বৃহস্পতিবার ফ্লোটিলার বরাত দিয়ে রয়টার্স বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনী ১৩টি জাহাজ আটকে দিয়েছে, তবে আরও ৩০টির মতো জাহাজ যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের উদ্দেশে যাত্রা অব্যাহত রেখেছে।
ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকারের তথ্য অনুযায়ী, ১৫টি জাহাজ আটকে দিয়েছে ইসরায়েল। আর ২৬টি জাহাজ গাজার দিকে যাচ্ছে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশ করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, ফ্লোটিলায় থাকা সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ জাহাজের ডেকে বসে আছেন। তাকে চারপাশ থেকে ঘিরে রেখেছে ইসরায়েলি সেনারা। রয়টার্স এই ভিডিও যাচাই করেছে।
সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার বৈশ্বিক উদ্যোগ গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ৪০টিরও বেশি বেসামরিক নৌযানের একটি বহর। প্রায় ৫০০ মানবাধিকারকর্মী এই বহরে রয়েছেন। বুধবার রাতে তাদের বেশ কয়েকজনকে আটকে ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হয়।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার এক্স হ্যান্ডলে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, ফ্লোটিলার কয়েকটি জাহাজ ‘নিরাপদভাবে থামানো হয়েছে’ এবং যাত্রীদের ইসরায়েলি বন্দরের দিকে পাঠানো হচ্ছে। প্রধান জাহাজ আলমায় থাকা সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ ও ‘তার সহযাত্রীরা নিরাপদ ও সুস্থ আছেন।’
ইসরায়েল আগেই বলেছিল, গাজামুখী ফ্লোটিলাকে থামাতে যা যা প্রয়োজন, তা-ই করা হবে। দেশটি দাবি করেছিল, স্বেচ্ছাসেবী ও মানবাধিকারকর্মীরা ‘একটি বৈধ নৌ অবরোধ ভাঙার চেষ্টা’ করছেন, যা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।
২০০৭ সালে হামাস গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে ইসরায়েল বিভিন্ন মাত্রায় এই অঞ্চলে অবরোধ আরোপ করে রেখেছে। এরপর থেকে গাজার বাসিন্দারা কার্যত ওই ভূখণ্ডেই আটকা পড়ে আছেন। সেখানে খাদ্য, পণ্য ও ত্রাণ প্রবেশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে ইসরায়েল।
ফ্লোটিলার আয়োজকরা জানায়, গাজা উপকূল থেকে প্রায় ৭০ নটিক্যাল মাইল (প্রায় ১৩০ কিলোমিটার) দূরে ইসরায়েলি নৌবাহিনী নৌযানগুলোতে উঠে পড়ে, যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে এবং সংকেত ব্যাহত করে দেয়।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার মুখপাত্র সাইফ আবুকেশেক বলেন, ‘আমাদের প্রায় ৩০টি জাহাজ এখনো দখলদার বাহিনীর সামরিক বাধা উপেক্ষা করে গাজা উপকূলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’