পটুয়াখালী
বাউফলে ভিডিও করার অপরাধে পুলিশের হাতে শিশু নির্যাতনের অভিযোগ
পটুয়াখালী বাউফলে ভিডিও করার অপরাধে মো. হামিম (১০) নামের এক শিশুকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বাউফল থানার এসআই মাসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে। উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ছয়হিস্যা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটিকে (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার সময় বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎস্যা দেওয়া হয়। শিশু হামিম ছয়হিস্যা গ্রামের কবির মোল্লার ছেলে ও ছয়হিস্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, মো. হামিম তার বাসার সামনে বন্ধু জিদান, তানভীর ও মিয়াদের সাথে মোবাইল ফোন নিয়ে খেলার ছলে ভিডিও ধারণ করে। ওই সময় পুলিশের এসআই মাসুদুর রহমান তার হাত থেকে মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং শিশুটিকে মারধর করে। পরে তাকে পুলিশের গাড়ীতে উঠালে স্থানীয়দের তোপের মুখে হামিমকে ছেড়ে দেন।
হামিম জানান, সে তার বন্ধুদের সাথে মোবাইল ফোন নিয়ে খেলা করছিলো। তখন পুলিশ তার কাছ থেকে মোবাইল ফোনটি নিয়ে যায় এবং কানের উপর চার পাচটি চড় থাপ্পড় মারে। পরে তাকে পুলিশের গাড়ীতে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এতে শিশুটি কানে আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী জালাল খন্দকার বলেন, পুলিশ শিশুটিকে মারধর করে গাড়ীতে উঠালে কলম শাহ, কুদ্দুস মোল্লা ও আমি শিশুটিকে পুলিশের কাছ থেকে রেখে দেই।
হামিমের বাবা কবির মোল্লা বলেন, ঘটনার সময় আমি ছিলাম না। স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি আমার ছেলেকে মারধর করে ফোন নিয়ে গেছে। আমি পুলিশের ভয়ে ছেলের চিকিৎসাও করাইনি। ছেলেটি সারারাত ব্যাথায় না ঘুমাতে পাড়ায় স্থানীয়দের সহায়তায় আজ (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে হাসপাতালে নিয়ে আসি।
অভিযুক্ত উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মাসুদুর রহমান বলেন, জমাজমি বিরোধের ঘটনায় ছয়হিস্যা গ্রামে পৌছালে শিশুটি আমাদের ভিডিও ধারণ করে। মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি, শুধুমাত্র মোবাইল ফোনটা নিয়ে এসেছি।
বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. নুরজাহান বলেন, শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে ডান কানে ব্যাথার বিষয়ে নাক কান গলা বিশেষজ্ঞদের দেখানোর পরামর্শ দিয়েছি।
বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, বিষয়টি জানার পরে আমি মাসুদুর রহমানের সাথে কথা বলেছি। সে শিশুটির মাথা ধরে ঝাঁকি দিয়ে মোবাইল ফোনটি নিয়ে এসেছে বলে স্বীকার করেছে।