ঝালকাঠি
ঝালকাঠিতে জামিন নিয়ে আদালতকক্ষ থেকে বের হওয়ার সময় আসামিকে ছুরিকাঘাত
ঝালকাঠিতে একটি মামলায় জামিন নিয়ে আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় এক আসামিকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে বাদীপক্ষের বিরুদ্ধে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝালকাঠি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৪র্থ তলায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীর নাম মো. জসিম মাঝি (২৫)। তাঁর বাড়ি জেলার নলছিটি উপজেলার ভৈরবপাশা ইউনিয়নের ঈশ্বরকাঠি গ্রামে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ভাই মিরাজ মাঝি বাদী হয়ে ঝালকাঠি সদর থানায় একটি মামালা করেছেন। পুলিশ এ মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠি আদালত পুলিশের পরিদর্শক পুলক চন্দ্র রায়।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নলছিটি উপজেলার লক্ষণকাঠি গ্রামের ফক্কর মাঝিকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করার অভিযোগে তাঁর স্ত্রী হালিমা বেগম নলছিটি থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় আজ আদালতে ছুরিকাঘাতে আহত ভুক্তভোগী মো. জসিম মাঝি, তাঁর তিন ভাই, বাবা ও চাচাকে আসামি করা হয়। মামলায় জামিন নিয়ে আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বাদীপক্ষ জসিম মাঝিকে ঘিরে ধরে ছুরিকাঘাত করে। এতে তাঁর নাকে গুরুতর জখম হয়। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা ঘটনস্থল থেকে চারজনকে আটক করেন।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার জহুরুল ইসলাম (২৩), রফিকুল ইসলাম (২৫), পপি আক্তার (২৭) ও মনি আক্তার (৩৫) আপন ভাইবোন। তাঁরা সবাই ভুক্তভোগী জসিম মাঝি ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী হালিমা বেগমের সন্তান।
মামলার বাদী মিরাজ মাঝি বলেন, ‘জামিন নিতে এসে আমার ভাই ছুরিকাঘাতের শিকার হয়েছে। আমি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
অপর মামলার বাদী হালিমা বেগম বলেন, ‘আমাদের পরিবারের সঙ্গে ওই পরিবারের দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব রয়েছে। তাদের সঙ্গে আমাদের আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে। আজকের ঘটনায় আমার সন্তানেরা জড়িত নয়। তারা পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা সাজিয়েছে।’
ঝালকাঠি জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাসিমুল হাসান বলেন, আদালতপাড়ায় এ ধরনের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। যাঁরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন, তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।
ঝালকাঠি আদালত পুলিশের পরিদর্শক পুলক চন্দ্র রায় বলেন, এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ভবিষ্যতে আদালতের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হবে।