উজিরপুর
বরিশালে আল্লাহু আকবর বলে হত্যার উদ্দেশ্যে আপন চাচিকে কুপিয়ে জখম
বরিশাল জেলার উজিরপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হত্যার উদ্দেশ্যে আপন চাঁচিকে উপুর্যুপরি কুপিয়ে সংজ্ঞাহীন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। হামলার ঘটনায় উজিরপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
মামলা ও আহত পরিবার সুত্রে জানা যায়- উজিরপুর উপজেলার পশ্চিম সাতলা গ্রামে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে প্রতিপক্ষ ভাতিজা ভাশুর ও দেবর। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে পশ্চিম সাতলা টাওয়ারের সম্মুখে আঃ রশিদ সিকদারের ছেলে রুহুল আমিন ও হাসানের সাথে বড় ভাই মোঃ ইউনুস সিকদার ও তার ছেলেদের সাথে জমিজমা নিয়ে সামান্য কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ইউনুস সিকদার ও তার ছেলে কলিম সিকদার, মানিক সিকদার, ছালাম সিকদার ও তার ছেলে ইশ্রাফিল সিকদার, কাইয়ুম সিকদার, শেলিম সিকদার, ইউনুস সিকদারের ছেলে কলিম সিকদার দেশীয় ধারালো অস্ত্র রামদা নিয়ে রুহুল আমিন ও তার ভাই হাসানকে ধাওয়া করে। এ সময় বাঁধা দিলে রুহুল আমিনের মা হাওয়া বেগম (৫৫) কে হত্যার উদ্দেশ্যে কলিম সিকদার আল্লাহু আকবর বলে রামদা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এরপর অন্যান্যরাও তাকে উপুর্যুপরি ভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে সজ্ঞাহীন করে ফেলেছে। এতে হাওয়া বেগমের হাত,মুখমন্ডল সহ চারটি দাঁত ও মুখের চাপা ভেঙে যায়। মৃত্যু ভেবে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। মূমূর্ষ অবস্থায় হাওয়া বেগমকে স্থানীয় ও পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে গৈলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থা বেগতিক দেখে কর্তব্যরত ডাঃ উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেন।
অভিযুক্ত মোঃ মানিক সিকদার বলেন- গত ১৭ বছর ধরে মেজ চাচা রশিদ সিকদারের সাথে মোট ২ একর ২০ শতাংশ জমি বিরোধ চলে আসছিলো। আমার দলিল মুলে ১ একর ৪২ শতাংশ জমি আছে। ওই জমি নিয়ে আমার চাচা আঃ রশিদ সিকদারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। এরই প্রেক্ষিতে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি সংঘটিত হয়েছে।
উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস সালাম জানান- হামলার ঘটনায় মামলা নেয়া হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে ওই হামলাকারীদের অচিরেই গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন আহতের পরিবার।