বরিশাল
বরিশাল নার্সিং কলেজ: ছাদের পলেস্তারা খসে আহত ছাত্রী, বিক্ষোভ
বরিশাল সরকারি নার্সিং কলেজের ছাত্রীনিবাসের ছাদের পলেস্তারা খসে এক ছাত্রী গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় আন্দোলন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার দিনভর ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করে প্রতিবাদ জানান তাঁরা। এ সময় আট দফা দাবি তুলে ধরেন নার্সিং শিক্ষার্থীরা। পরে ছাত্রীনিবাসের উন্নয়নে তিন দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়।
আজ সকাল ১০টা থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে জড়ো হন। এ সময় তাঁরা বেহাল ছাত্রীনিবাস সংস্কারে দীর্ঘদিনেও কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি এর সঙ্গে জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। নার্সিং কলেজ শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরিন বলেন, তাঁদের এক বোনের ওপর ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে। এর প্রতিবাদে তাঁরা একাডেমিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। তাঁরা আট দফা দাবি তুলে ধরেছেন।
এসব দাবির মধ্যে রয়েছে হোস্টেলের মেইন গেটে সার্বক্ষণিক বাধ্যতামূলক একজন দারোয়ান রাখা, শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের জন্য ওয়েটিং রুমের ব্যবস্থা করা, কলেজের সাতটি ইয়ারের জন্য ন্যূনতম ১৪টি রেফ্রিজারেটরের ব্যবস্থা করা, হোস্টেলের বৈদ্যুতিক লাইনসহ যাবতীয় বৈদ্যুতিক ত্রুটি অতিসত্বর মেরামত করা, উভয় হোস্টেলের প্রতি রুমের দরজা, জানালা, লাইট, ফ্যানসহ সব নষ্ট জিনিসপত্র মেরামত করা, বেসরকারি বাবুর্চিদের বেতন এবং মেসের প্রতি মাসের গ্যাসের বিল কলেজ কর্তৃপক্ষের বহন করা, হোস্টেলে অতিসত্বর ক্যানটিনের ব্যবস্থা করা এবং প্রতি মাসে হোস্টেলের প্রতিটি পানির ট্যাংক পরিষ্কার করা।
কামরুন নাহার মুক্তি নামের এক ছাত্রী বলেন, সবশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কলেজ প্রশাসন তিন দিনের সময় নিয়েছে। এই তিন দিনের মধ্যে তারা হোস্টেলের কী উন্নয়ন করবে, তা লিখিত জানাবে শিক্ষার্থীদের।
এ বিষয়ে জানতে বরিশাল নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ হোসনে আরা আক্তার রুমিকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।