ভোলা
ভোলায় ঘরে ঢুকে মাদ্রাসাশিক্ষককে কুপিয়ে হত্যা, বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ
ভোলায় ঘরে ঢুকে মাদ্রাসার শিক্ষক ও মসজিদের খতিব মাওলানা আমিনুল হক নোমানীকে (৪৫) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার দিনগত রাতে সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের চরনোয়াবাদ এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে নিজ বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নোমানী ওই এলাকার মাওলানা এনামুল হকের ছেলে। তিনি ভোলা সদর উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের খতিব ও ভোলা দারুল হাদিস কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আমিনুল হক তাঁর স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ওই বাড়িতে বসবাস করতেন। শ্বশুর অসুস্থ হওয়ায় তাঁর স্ত্রী সন্তান নিয়ে বাবার বাড়িতে যান। ঘটনার দিন তিনি একাই বাড়িতে ছিলেন। শনিবার রাতে মসজিদে এশার নামাজ শেষে এনামুল হক নিজ বাড়িতে যান। এরপর রাত সোয়া ৯টার দিকে স্থানীয়রা ডাক-চিৎকার শুনে ঘরে গিয়ে আমিনুলের রক্তাক্ত দেহ নিজ বসতঘরে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিলে রাত সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বড় বোন জান্নাতুল নাইমা বলেন, এশার নামাজ শেষে আমিনুল ঘরে যাওয়ার পরই তাকে দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় তাঁর ঘরে কেউ ছিল না।
ভোলা সদর মডেল থানার পুলিশ ও হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, নিহত আমিনুলের শরীরে অনেক ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল এবং রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু শাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজের নেতৃত্বে থানার পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। ওসি বলেন, দুর্বৃত্তরা পার পাবে না। তাদের দ্রুতই গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। তদন্ত চলছে।
এদিকে, নোমানীকে হত্যার প্রতিবাদে এবং হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শনিবার গভীর রাতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। মিছিলটি সদর রোড হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ভোলা সদর হাসপাতালে এসে শেষ হয়।
এ বিষয়ে ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ সুফিয়ান রুস্তম বলেন, আজ সকালে নিহত আমিনুলের ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হয়েছে।