বরিশাল
মেহেন্দীগঞ্জে ভাঙা সেতুতে চলাচলে ঝুঁকি, দুর্ভোগে শিক্ষার্থীসহ ৭ গ্রামের মানুষ
বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে একতা ডিগ্রি কলেজ-সংলগ্ন লোহার সেতু ভেঙে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিনের পুরোনো সেতুতে বড় ধরনের গর্ত হওয়ায় জোড়াতালি দিয়ে চলাচল করছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। গাড়ি চলাচল করতে না পারায় দুর্ভোগে পড়েছে উপজেলার লতা ও আন্ধারমানিক ইউনিয়নের সাত গ্রামের মানুষ। দ্রুত সেতুটি ভেঙে নতুন ঢালাই সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের আব্দুর রহমান জানান, প্রায় ১২ বছর আগে লতা খালের ওপর একতা ডিগ্রি কলেজের সামনে একটি লোহার সেতু নির্মাণ করে লতা ইউনিয়ন পরিষদ। নির্মাণের দুই বছরের মধ্যে দুটি খুঁটি দেবে মাঝখানে নিচু হয়ে যায়। কয়েক বছর আগে সেতুটিতে দু-তিনটি বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। ফলে সেতুতে অটোরিকশা, ভ্যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা কাঠ-বাঁশ দিয়ে কোনোমতে চলাচল করেছে।
একতা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন আন্ধারমানিক, জয়নগর, চরসন্তোষপুর, চরউদয়পুর, সন্তোষপুর, বিদ্যানন্দপুর, গাবতলী গ্রামের হাজারো মানুষ চলাচল করে। এসব গ্রামের শিক্ষার্থীরা একতা কলেজ, উদয়পুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে। সেতু ভেঙে যাওয়ায় গাড়ি চলাচর বন্ধ থাকায় তাদের হেঁটে চলাচল করতে হয়। এ ছাড়া সেতুতেও দুর্ঘটনা ঘটছে। ওই খালে একটি নতুন সেতু নির্মাণের প্রয়োজন।
লতা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, একতা কলেজের সামনে গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি ভেঙে গেলেও সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সর্বোচ্চ ৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব। কিন্তু একটি ঢালাই সেতু করার জন্য দেড় থেকে দুই কোটি টাকা প্রয়োজন। ঝুঁকিপূর্ণ লোহার সেতুটি ভেঙে নতুন ঢালাই সেতু করার জন্য উপজেলা পরিষদে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিয়াজুর রহমান বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ সেতু ভেঙে ঢালাই সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।