গৌরনদী
খাবার হোটেলের আড়ালে মাদক কারবার, আটক ২
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার কটকস্থল বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন ‘ফাতেমা হোটেল’ দীর্ঘদিন ধরে গোপনে মাদক কারবার করে যাচ্ছিল। খাবার হোটেলের আড়ালে চলা এ অপকর্ম এত দিন গোয়েন্দা নজর এড়িয়ে গেলেও রোববার (২১ জুলাই) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে ইয়াবা ও গাঁজাসহ দুজনকে আটক করেছে প্রশাসন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাজিব হোসেনের নেতৃত্বে আনসার ভিডিপি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও গৌরনদী মডেল থানার সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম রাতভর আড়াই ঘণ্টার অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানকালে হোটেলের ভেতর থেকে ৪৯ পিস ইয়াবা, প্রায় ১০০ গ্রাম গাঁজা, মাদক বিক্রির হিসাবের খাতা, নগদ অর্থ ও সেবনের সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। তবে অভিযানের ঠিক আগমুহূর্তে কয়েকজন মাদক কারবারি কৌশলে পালিয়ে যান। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁরা বড় একটি মাদকের চালান নিয়েই পালিয়েছেন।
এ সময় হোটেলের মালিক মানিক মাঝি—যিনি পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক কারবারি এবং ম্যানেজারকে আটক করা হয়। রাতেই তাঁদের বিরুদ্ধে গৌরনদী মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দক্ষিণাঞ্চলের কুখ্যাত মাদক কারবারি হিরা মাঝির ভাই মানিক মাঝি দীর্ঘদিন ধরে হোটেল ব্যবসার আড়ালে মাদক কারবার চালিয়ে আসছিলেন। নানা কারণে এত দিন বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরে না পড়লেও এবার তাঁর বিরুদ্ধে অভিযানে প্রশংসা কুড়িয়েছেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হোসেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁকে ঘিরে ব্যাপক প্রশংসার ঢল নামে। স্থানীয় সচেতন মহল ও মাদকবিরোধী সংগঠনগুলো রাজিব হোসেনের এ সাহসী ভূমিকাকে প্রশাসনের সক্রিয়তা ও দায়িত্বশীলতার বাস্তব উদাহরণ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হোসেন বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসন মাদকবিরোধী জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।’
গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করে আটক দুজনকে সোমবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।