কলাপাড়া
কুয়াকাটায় ভেসে এল ট্রলারসহ আরও এক জেলের লাশ, এখনো নিখোঁজ ৩
সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ডুবে যাওয়া ট্রলার এফবি সাগরকন্যা পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এসেছে। সেই সঙ্গে ভেসে এসেছে এ দুর্ঘটনায় নিখোঁজ ১ জেলের লাশ। এখনো খোঁজ পাওয়া যায়নি আরও ৩ জনের।
আজ বৃহস্পতিবার সৈকতের ডিসি পার্ক-সংলগ্ন সাগরে ট্রলার ও লাশটি ভাসতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা নৌ পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেয়। পরে পুলিশের একটি দল লাশটি উদ্ধার করে। ওই জেলের নাম ইদ্রিস (৫০)। বাড়ি কলাপাড়া উপজেলার মধুখালীতে। লাশের গায়ের পোশাক দেখে পরিচয় শনাক্ত করেন তাঁর ভাতিজা সাগর।
সাগর বলেন, ‘আমিও ২৬ জুলাই ওই ট্রলারে চাচার সঙ্গে ছিলাম। ট্রলারডুবির সঙ্গে সঙ্গে চাচাও ডুবে যায়। এ সময় চাচার পরনে লাল গেঞ্জি ও কালো প্যান্ট ছিল।’
কুয়াকাটা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিকাশ মণ্ডল বলেন, লাশের পরনের গেঞ্জি-প্যান্ট দেখে এটি ইদ্রিসের লাশ বলে তাঁর ভাতিজা সাগর দাবি করেছেন। লাশের সুরতহাল শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলেদের সূত্রে জানা গেছে, ২৫ জুলাই মহিপুর থেকে ১৫ জেলে নিয়ে গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারের উদ্দেশে রওনা দেন ট্রলারের মাঝি আবদুর রশিদ। পরদিন সকাল ১০টার দিকে কুয়াকাটাসংলগ্ন সাগরের শেষ বয়া থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার গভীরে ট্রলারটি ঢেউয়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। এতে পাঁচ জেলে নিখোঁজ এবং চার দিন সাগরে ভেসে থাকার পর জীবিত উদ্ধার হন ১০ জন।
নিখোঁজ ৫ জনের মধ্যে নজরুল ইসলাম নামের ১ জনের লাশ গত শুক্রবার কুয়াকাটার মীরাবাড়িসংলগ্ন বঙ্গোপসাগর থেকে উদ্ধার করা হয়। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ট্রলারের মাঝি রশিদ, রফিকসহ ৩ জন।
উদ্ধার হওয়া জেলেদের ভাষ্য, ঘটনার দিন জাল ফেলার কিছু সময় পরই হঠাৎ ঝড় ও প্রচণ্ড ঢেউয়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি। মুহূর্তেই এটি ডুবে যায়। শুরুতেই এক জেলে ঢেউয়ের তোড়ে নিখোঁজ হন। এরপর বাঁশ ও অন্যান্য সরঞ্জামের সাহায্যে ১৪ জন ভাসতে থাকেন। পরে আরও ৪ জন ঢেউয়ের ধাক্কায় তলিয়ে যান। ভেসে থাকা জেলেরা শেষ বয়াসংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে গত সোমবার রাতে দুটি মাছ ধরার ট্রলার ৯ জনকে উদ্ধার করে মহিপুর মৎস্য বন্দরে নিয়ে আসে। পরে আরেকটি ট্রলার আরেকজনকে উদ্ধার করে।