আবহাওয়া
বরিশালে স্মরণকালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.১ ডিগ্রি, জনজীবন বিপর্যস্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশালে জেঁকে বসেছে হারকাপনো শীত। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) জেলায় ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে তাপমাত্রার পরদ ৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি নিচে নেমে স্মরণকালের সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে গোপালগঞ্জে। হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এতে করে চরম বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের মানুষ।
সকাল থেকে মেঘ আর গত কয়েকদিনের কুয়াশা সরিয়ে সূর্যের দেখা মিললেও হালকা কুয়াশার কারণে রোদের তেমন তেজ ছিলনা। ফলে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের প্রায় ৬.৫ ডিগ্রি নিচে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, আজ জেলার সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এদিন বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল জানান, বৃহস্পতি ও শুক্রবার দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়ে শনিবার তা অপরিবর্তিত থেকে পরবর্তী ৫ দিনে আবার তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করলেও এর একটি বর্ধিতাংশ বরিশাল উপকূল সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
তীব্র ঠান্ডায় বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে: শিশু ওয়ার্ডে আসন সংখ্যা: ৪১টি। বর্তমানে ভর্তি শিশু রোগী: ৩৫০ জন।
শয্যা সংখ্যার তুলনায় প্রায় সাত গুণ রোগী ভর্তি থাকায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। কেবল শিশুরাই নয়, বয়স্করাও ঠান্ডাজনিত নানা সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন।
জেলায় ১১ টার পর সূর্যের দেখা মিললেও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন অটোরিকশাচালক ও দিনমজুরেরা।
কালিবাড়ি রোড এলাকার অটোরিকশাচালক জাকির হোসেন বলেন, ‘ঠান্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে আসছে। রাস্তায় যাত্রী নেই। এভাবে আরও কয়েক দিন চললে সংসার চালানো দায় হয়ে পড়বে।’



