বরিশাল
কুয়াশার চাদরে নৌপথ, বরিশালে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখায় দুর্ভোগে যাত্রীরা
ঘন কুয়াশার কারণে বরিশাল থেকে সব রুটে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। গতকাল রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডাব্লিউটিএর নির্দেশনার পর থেকেই এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর রয়েছে।
আজ সোমবার সকালে বরিশাল লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, অভ্যন্তরীণ রুটের লঞ্চগুলো নোঙর করা। নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে যেতে না পেরে যাত্রীরা ঘাটে এসে দুর্ভোগে পড়ছেন। কেউ অপেক্ষায়, কেউ বিকল্প পথের খোঁজে।
বিআইডাব্লিউটিএর নৌরুট নিরাপত্তা বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. সোলায়মান হোসাইন বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে না আসা পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে চলাচল স্বাভাবিক করা হবে। নির্দেশনা অমান্য করে কেউ লঞ্চ ছাড়লে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, ঘন কুয়াশার কারণে সারা দেশেই সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডাব্লিউটিএ। এর ফলে বরিশাল নদী বন্দরে ঢাকার উদ্দেশে ছাড়ার কথা-এমন চারটি লঞ্চ থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়।
বরিশাল নদী বন্দরের ট্রাফিক পরিদর্শক জুলফিকার আলী জানান, রবিবার রাতে ওই লঞ্চগুলো ছাড়ার প্রস্তুতি থাকলেও কুয়াশার কারণে তা বাতিল করা হয়। দুর্ঘটনা এড়াতে অভ্যন্তরীণ রুটের লঞ্চ এবং ভোলা-বরিশাল রুটে চলাচলকারী স্পিডবোটও বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বরিশাল নদীবন্দর নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, কেন্দ্রীয় দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে।
এর আগে গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় বিআইডাব্লিউটিএর উপপরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে চাঁদপুর ও দক্ষিণাঞ্চলে রাতের জন্য যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। কবে নাগাদ চলাচল শুরু হবে তা কুয়াশার ঘনত্বের ওপরই নির্ভর করছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক আনিচুর রহমান জানান, রবিবার সারাদিন সূর্যের দেখা মেলেনি। নদী অববাহিকা দিনভর কুয়াশায় ঢাকা ছিল। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা আরো ঘন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সোমবারও একই পরিস্থিতি বিরাজ করছিল।


