বরিশাল
বরিশাল নগরীতে ৩ স্তরের নিরাপত্তা গ্রহণ
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। এরপর থেকে রাজধানীজুড়ে অনেকটাই থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বরিশালেও এর উত্তাপ চলমান রয়েছে। এর বাইরে দুটি গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করার ঘটনা ঘটেছে বরিশাল নগরীতে। এছাড়া আসন্ন বড় দিন ও থার্টিফাস্ট নাইট উপলক্ষে নগরজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এ অবস্থায় যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে নগরীর বিভিন্ন সড়কে নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। বরিশাল মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো: শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন হাদী সাহেবের মৃত্যু, বড় দিন, থার্টি ফাস্ট নাইট এবং আসন্ন নির্বাচন কে সামনে রেখে অনেকগুলি ঘটনা একসাথে চলে এসেছে। তাই নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা খুব গুরুত্বের সাথে নিয়েছি। ইতিমধ্যে নগরীতে দিনে ও রাতে টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। ডিবি পুলিশকে থানা ভিত্তিক ভাগ করে দিয়েছি। সিটিএসবি ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা প্রতিনিয়ত মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহ করছে ও আমাদের ইনফর্ম করছে। এর বাইরে র্যাব, সেনাবাহিনী তাদের টহল ও কার্যক্রম বৃদ্ধি করেছে। আশা করছি বরিশাল নগরীকে অপ্রীতিকর ঘটনার বাইরে রাখতে সক্ষম হবো। তিনি আরো বলেন-বড় দিন ও থার্টিফাস্ট নাইট উপলক্ষে ৩ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন-সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠেছে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাদের গ্রেফতার করা। সত্যি বলতে আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর নগরীর বেশীর ভাগ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু তারা অনেকেই জামিনে রয়েছেন। তারপরও পুলিশ বসে নেই।
জামিনে থেকে দেশ বিরোধী কাজ করবে, নাশকতা করবে, পুলিশ তা হতে দেবে না। তিনি উদাহরণ টেনে বলেন-২ দিন আগে রিফিউজি কলোনীতে যে ঘটনা ঘটেছে তা হয়ত ঘটতো না। কারন যে ঘটনা ঘটিয়েছে সেই রুবেলকে আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর ২ বার গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রতিবার সে জামিনে বের হয়ে এসেছে। তিনি বলেন, এসব আসামী যদি এত জামিন পায় তাহলে পুলিশ কিছুটা অসহায় হয়ে পড়ে। তারপরও আমরা বসে নেই, হতাশও নই। সব কিছু মিলিয়ে আমরা নগরীতে শান্ত ও নাশকতামুক্ত রাখবো। কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল মামুন উল ইসলাম শনিবার বিকেলে বলেন, এইমাত্র আমরা কমিশনার স্যারের নির্দেশে খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে নিয়ে সভা করেছি।
তারা উৎসবে আামাদের কাছ থেকে যে ধরনের নিরাপত্তা চেয়েছে তার চেয়ে বেশী আমরা তাদের কে আশ্বস্ত করেছি। আশা করছি কড়া নিরাপত্তায় আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে নগরীতে বড় দিন পালিত হবে। তিনি বলেন, হাদী সাহেবের মৃত্যু, বড় দিন, থার্টিফাস্ট সব মিলিয়ে আমরা নির্ঘুম রাত পার করছি। ডিসি স্যার (উপ পুলিশ কমিশনার) সারারাত রাস্তায় পার করছেন। তাহলে আমাদের অবস্থা বোঝেন। নগরীতে দিনের চেয়ে রাতে নিরাপত্তা বেশী জোরদার করা হয়েছে। পুরো নগরী রাতে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকে।


