ভোলা
লালমোহনে সড়ক সংস্কারে অনিয়ম
ভোলার লালমোহন উপজেলায় সড়ক সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ডা. আজাহার উদ্দিন রোড থেকে ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের চতলা বাজার পর্যন্ত ওই সড়ক সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। সড়কটি সংস্কারের কাজ শুরু হয় প্রায় দেড় বছর আগে। যা শেষ করার কথা ছিল জুন মাসে। তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার কাজ শুরু করে যথাসময়ে কাজ শেষ না করে দীর্ঘদিন অদৃশ্য হয়ে যান। হঠাৎ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) পুরনো ইট ও মাটির ওপর পিচ দিয়ে কাজ শুরু করে দেন ঠিকাদার। কাজ শুরু করলেও জানেন না উপজেলা এলজিইডি।
উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জিওবি মেইনটেন্যান্সের আওতায় ৮৫০ মিটার সড়কটি সংস্কারের জন্য ৫১ লাখ ৯৪ হাজার ৯৩৫ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। গত জুন মাসেই সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে ঠিকাদারের খামখেয়ালিতে যথাসময়ে কাজটি সম্পন্ন করা হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহিম, মো. ছিদ্দিক, মো. ফিরোজ, মো. মাকসুদ ও মো. শাহাবুদ্দিন মাস্টারসহ কয়েকজন বলেন, এই কাজের শুরু থেকেই দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারের গড়িমসি করেছেন। যার ফলে স্থানীয় বাসিন্দা, যানবাহন চালক ও পথচারীরা চরম ভোগান্তিতে ছিলেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বেশ কয়েকবার জানানোর পরেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। তবে বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে কোনো কথা ছাড়াই ঠিকাদার সড়কের ওপর ইট ও খোয়া না ফেলে মাটির মধ্যেই পিচ ঢেলে সংস্কার কাজ শুরু করে দেন। এমন করে কাজ করলে এক সপ্তাহও টিকবে না সড়কটি। আমরা সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এ বিষয়ে এলজিইডির লালমোহন উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. রাসেল বলেন, ঠিকাদারের সঙ্গে কাজটি শেষ করার জন্য আমরা কয়েকবার যোগাযোগ করেছি। কিন্তু ঠিকাদার আমাদের অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ না করে আজকে কিভাবে কাজ শুরু করেছেন তা আমাদের জানা নেই। আমরা শিগগিরই সরাসরি ওই সড়কে গিয়ে কাজটি দেখবো।
ঠিকাদার মাকসুদুর রহমান জানান, আমি নিজেও একজন সাংবাদিক। আমার কোনো বক্তব্য নাই। আমার বক্তব্য হচ্ছে অফিসের সঙ্গে কথা বলেন।


