বরিশাল
বরিশাল মুসলিম ইনষ্টিটিউটের সম্পত্তির মালিক মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব!
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল মুসলিম ইনষ্টিটিউটের সম্পত্তিতে তৎকালিন সময় নবাব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরীর সন্তান নবাবজাদা সৈয়দ ফজলে রাব্বি চৌধুরী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব প্রতিষ্ঠা করছিলেন বলে প্রত্যয়ন করেছেন সয়ং সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী ওয়াকফ এষ্টেটের মোতাওয়াল্লী ও ওয়ারিশ সৈয়দ আকবর আলী চৌধুরী।
রোববার (১২ ডিসেম্বর) সৈয়দ আকবর আলী চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক প্রত্যয়নপত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি প্রত্যয়নপত্রে উল্লেখ করেন- সৈয়দ আকবর আলী চৌধুরী নবাব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরীর সায়েস্তাবাদ ওয়াকফ এষ্টেটের মোতাওয়াল্লী ও ওয়ারিশ। তার জানামতে- বরিশাল মুসলিম ইনষ্টিটিউটের তৎসময়ের কর্তৃপক্ষ ও নবাব মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরীর সন্তান নবাবজাদা সৈয়দ ফজলে রাব্বি চৌধুরী ১৯৪০ ইং সনে বরিশাল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন। সে আলোকে বর্তমান বি.এস জরিপে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের নামে দখলীয় মালিকানা হিসেবে রেকর্ড প্রাপ্ত হয়। ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবটি অত্র অঞ্চলের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতি অঙ্গনে ব্যাপক অবদান রয়েছে।
সুতরাং এই ক্লাবটির মাধ্যমে আগামীতে যেন কোন অনৈতিক কর্মকান্ড না হয় এবং মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মাধ্যমে বরিশালে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করার নিমিত্তে তিনি ক্লাবটির উত্তর উত্তর সাফল্য কামনা করেন।
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এবায়েদুল হক চাঁন বলেন- মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব নিয়ে দীর্ঘদিন ষড়যন্ত্র চলছে। এরআগে গভীর রাতে বিনা নোটিসে সিটি করপোরেশনের লোকজন বুলডোজার দিয়ে ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবটি গুঁড়িয়ে দেয়। এরপর ধাপে ধাপে বেশ কয়েকটি মহল এই সম্পত্তি দখলের পায়তারা চালিয়েছে।
ক্লাবের ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরে তিনি বলেন- ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে জাগরণের প্রতীক ক্লাবটি। স্বাধীনতার পর বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের ক্রীড়া উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখেছে। ১৯৩৭ সালে তৎকালীন জমিদার সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরীর ছেলে সৈয়দ ফজলে রাব্বী ক্লাবের জন্য সদর রোড মৌজায় ৩৩ শতাংশ জমি দান করেন। ওই জমিতে ১৯৪২ সালে মোহামেডান স্পোর্টিং স্থাপিত হয়। পরবর্তী সময়ে দলিল বিএস পর্চা অনুযায়ী এই জমি মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের অনুকূলে রযেছে।
তিনি আরও বলেন- ওই স্থানের আশেপাশে অনেক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেখানে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করা সোভনীয় নয় বলে আমার মনে হয়। আর ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি মসজিদও আছে। এমনকি ওই এলাকার মুসুল্লীরাও চায় ওখানে আরেকটি মসজিদ নির্মাণ হোক।



