তজুমদ্দিন
ভোলায় খোলা আকাশের নিচে ১০২ ভূমিহীন পরিবার
নিজস্ব প্রতিবেদক : ভোলার তজুমদ্দিনে পাউবোর খামখেয়ালিপনায় মেঘনা নদীর তীরে অপরিকল্পিত উপকূলীয় বেড়িবাঁধ নির্মাণের কারণে গৃহহীন হয়ে পড়েছে উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের দালালকান্দি ও মাওলানাকান্দি গ্রামের ১০২ পরিবার। তারা এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন । এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাটি কাটা বন্ধ করে দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাও. আ. রহিম নামে একজন জানান, ঠিকাদার আর উপজেলা বিএনপি সভাপতি গোলাম মোস্তফা মিন্টু মিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক ওমর আসাদ রিন্টু মিয়ার মধ্যস্ততায় ১৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা বললে আমরা সেটা গ্রহণ করিনি। এ টাকার বিনিময়ে আমাদের ভিটেবাড়ি ছেড়ে দিলে আমাদের আর থাকার কোনো জায়গা কিনতে পারব না। দালালকান্দি ও মাওলানাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা সালেহা বেগম, নুর জাহান বেগমসহ কয়েকজন জানান, এ বেড়িবাঁধটি সরিয়ে মাত্র ছয় ফুট দূরে তৈরি করলে আমাদের ঘরগুলো ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেত। তারা আরেকটু পূর্বপাশে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান।
এ বাঁধ নির্মাণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো গৃহহীন হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। চলতি অর্থবছরে উপকূলীয় বাঁধ পুনর্বাসন ও নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দুই কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গোলাম রাব্বানী কনস্ট্রাকশনকে কাজ দেওয়া হয়। তারা তাদের খামখেয়ালিপনায় বাঁধ নির্মাণের কাজ করার ফলে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে এসব পরিবারকে। শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে পথে বসার আশঙ্কায় কান্নার আহাজারি যেন থামছেই না মেঘনাপাড়ের শতাধিক পরিবারের সদস্যের। এ বিষয়ে তজুমদ্দিন উপজেলা
নির্বাহী অফিসার রেজাউল ইসলাম জানান, একটা অভিযোগ পেয়েছি, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পাউবো ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডি আহসানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। গোলাম রাব্বানী কনস্ট্রাকশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, আমরা ওপরের নির্দেশমতো কাজ করে যাচ্ছি। গতকাল সকালে বেড়িবাঁধের কাজ করতে গেলে স্থানীয় জনগণ বাধা দেয়। তাই আমরা কাজ আপাতত বন্ধ রেখেছি।



