ঝালকাঠি
ঝালকাঠির বিনয়কাঠি ডিগ্রি কলেজের গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ
ঝালকাঠির বিনয়কাঠি শেরে বাংলা ডিগ্রি কলেজের গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায় ৮/১০ শ্রমিক গাছের বড় বড় ডাল পালা কাটছে। প্রায় লক্ষাধিক টাকার গাছ কেটে মাটিতে ফেলে রাখতে দেখা যায়। শ্রমিকদের গাছ কাটার কারন জিজ্ঞেস করলে তারা জানায় বিনয়কাঠি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি গোলাম রাব্বি তাদের বদলা নিয়োগ করে গাছের ডাল কাটার নির্দেশ দিয়েছেন। তারা জানায়- সরকারি গাছ আর কাটাবো না এখনি চলে যাচ্ছি। স্যার আমাদের কোন ক্ষতি করবেন না, আমরা আসছি দিনমজুরের কাজ করতে আসছি আমাদের কোন দোষ নাই।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি গোলাম রাব্বি বলেন, কলেজের অধ্যক্ষ কমিটির মাধ্যমে গাছ বিক্রি করেছে। মাছ চাষের পুকুরের উপর থেকে ডালপালা কেটে ফেলেছে। আমি কোন গাছ কাটি নাই। তাকে শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে গাছ কাটার কথা জিজ্ঞেস করায় তিনি জানান, পুকুরের মধ্যে ডালপালা পড়ে থাকায় তা সরানোর জন্য শ্রমিক নিয়োগ করেছি আমি, তানাহলে আমার অনেক ক্ষতি হবে।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের স্ত্রী আসমা বেগম জানান, রাব্বির নেতৃত্বে ৫ আগস্টের পর বিনয়কাঠি কলেজ ও ইউনিয়ন পরিষদে লুটপাট শুরু হয় যা এখনও অব্যাহত আছে। দফায় দফায় গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। কলেজের কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও সিসি ক্যামেরা এই চক্র লুটপাট করে নিয়েছে যায়, আমার নিজ চোখে দেখেছি। প্রতিবাদ করায় আমার উপর হামলার হুমকি এসেছে। অনেক কিছু দেখেছি এবং সহ্য করেছি, আর করাবো না। কলেজ সকলের, কারো বাপের নয়। আর কোন লুটপাট সহ্য করা হবে না। যেখানে যা বলতে হবে সেখানে তা বলবো।
ওই এলাকার পথচারী শামীম জানান, দীর্ঘদিন যাবত একটি চক্র কলেজটি লুটপাট শুরু করছে। এতে বিএনপির উপর বদনাম ছড়াচ্ছে। কিন্তু এসকল অপকর্ম একটি স্বার্থান্বেষী মহল চালাচ্ছে। যার নেতৃত্বে ৪ জন রয়েছেন। দরকার হলে তাদের নাম বলে দিবো।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজ সাগুফতা মেহনাজ জানান, আমি সরেজমিনে লোক পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
কলেজের অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দীন হায়দার জানান, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য কিছু ছোট ছোট কচি ডাল কাটানো হয়েছে। বড় ডালপালা কাটতে নিষেধ করা হয়েছিল।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, ৫ আগষ্টৈর পর দলের পরিচয় দিয়ে সমস্ত ইউনিয়নে লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে। এরা ক্ষমতায় গেলে এলাকাবাসী শান্তিতে থাকতে পারবে না। ৫ আগষ্টের পর কলেজের সামনের বড় পুকুরে থাকা কয়েক লক্ষ টাকার মাছ রাতের অন্ধকারে লুট করে নিয়ে যায় এই লুটেরা চক্র। পুরা ইউনিয়ন কে তারা লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে পরিনত করেছে। মানুষের নারকেল গাছের ডাব পর্যন্ত এদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না।



