পটুয়াখালী
বাউফলে আসামীদের ভয়ে বাড়ি ছাড়া বাদীর পরিবার
পটুয়াখালীর বাউফলে ন্যায় বিচার পেতে আদালতে মামলা করার কারণে আসামীদের ভয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন মামলার বাদি ও তার পরিবার। এমন ঘটনা ঘটেছে উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের ঝিলনা গ্রামে।
মামলার বাদি শিরিনা বেগম জানান, আমার শ্বাশুড়ি বগা বন্দরের রিপন গাজী ওরফে সুধী রিপনের ৫লাখ ৫০হাজার টাকা চড়া সুদে গ্রহণ করেন। ওই সুদের টাকা জন্য চাপ দিলে দিতে না পাড়ায় আমাদের মারধর করে সুদি ব্যবসায়ী রিপন গাজীকে তার পাওনা টাকা বাবদ ৪৫ শতাংশ জমি কবলা মূলে হস্তান্তর করা হয়।
কিছুদিন পরে আবার সুদী রিপন আরো টাকা দাবি করেন। সুদের টাকা না দেওয়ায় আমাদের ওপর আবার নির্যাতন শুরু করে। নিরুপায় হয়ে ১৫ হাজার টাকা করে দুই মাস সুদের টাকা দিয়েছি। আর্থিক অনাটনের কারণে তাদের দাবিকৃত অযৌক্তিক সুদের টাকা দিতে না পারায় গত ১৩ জুন আমাকে মারধর ও নির্যাতন করে।
পরে আমার ঘরে ঢুকে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন সহ ঘরের যাবতীয় মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। পরে আমাদের বসত ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে। আমাকে মেরে অজ্ঞান করে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায়।
পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। পরে বিচারের দাবিতে সুদি রিপনসহ ৮জনকে আসামী করে আদালতে মামলা করি।
এতে সুদি রিপন সহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীরা আমার এবং আমার স্বামীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। তারা আমাদের মামলা তুলতে বলে। অন্যথায় আমাদের হত্যার হুমকি দেয়। তাদের ভয়ে আমরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
ওই নারীর স্বামী শামীম খান বলেন, সুদের টাকার জন্য জমি দিয়ে দিয়েছি। তারপরেও আরো সুদের টাকা দাবি করে । যা সম্পূর্ণ অন্যায়। তারা অনেক ক্ষমতাবান হওয়ায় আমরা প্রতিবাদ করতে পারছি না।
টাকা না দেওয়ায় মারধর করে আমাদের ঘরথেকে বের করে দিয়ে মালামাল সহ ঘর দখল করে নেয়। আদালতে মামলা করার কারণে আমাদের হত্যার হুমকি দেয়। এখন স্ত্রী সন্তান নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত রিপন গাজী বলেন, শিরিনার শাশুড়ী জমির মালিক। তিনি আমার কাছে জমি বিক্রি করেছে এবং জমি আমাকে দখল বুঝিয়ে দিয়েছে।
এখন তার আমাকে হয়রানি করার জন্য আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। আমি সেখানে জবাব দিব। এবিষয়ে থানার ওসি আখতারুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে। আদালত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে।